Rinku Singh

গত জুন মাসের ৮ তারিখ জীবনের এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা করেছেন ক্রিকেট তারকা রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। লক্ষ্ণৌ’র অভিজাত সেন্ট্রাম হোটেলে তিনি সেরেছেন বাগদান। রিঙ্কু’র হবু স্ত্রী প্রিয়া সরোজ একজন আইনজীবী। এছাড়াও অন্য একটি পরিচয় রয়েছে তাঁর। দেশের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম সাংসদ তিনি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে জিতেছেন উত্তরপ্রদেশের মছলিনগর কেন্দ্র থেকে। প্রিয়া’র বাবা তুফান সরোজ’ও সমাজবাদী পার্টির বড় মাপের নেতা। দীর্ঘদিন সাংসদ ছিলেন। বর্তমানে কেরাকাট জৌনপুরের বিধায়ক পদে রয়েছেন তিনি। রিঙ্কু (Rinku Singh) ও প্রিয়া’র বাগদানের অনুষ্ঠানে তাই হাজির ছিলেন রাজনৈতিক দুনিয়ার ‘হুজ হ’রা। এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী ও রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন’ও হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে।

Read More: বেছে বেছে ম্যাচ খেলার দিন শেষ, বুমরাহ’র ওয়ার্কলোড নিয়ে কড়া হচ্ছে বিসিসিআই !!

সাংসদের হবু স্বামী হলেও ক্রিকেটকেই আপাতত অগ্রাধিকার দিচ্ছেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। বাগদানের আগে অথবা পরে রাজনীতি সম্পর্কে কোনো মন্তব্যই করেন নি তিনি। তা সত্ত্বেও বাগদত্তার রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য নির্বাচক কমিশনের ভোটার সচেতনতা অভিযান থেকে বাদ পড়তে হলো তাঁকে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে নিরপেক্ষতা ও নৈর্ব্যক্তিকতা বজায় রাখা যে কোনো সচেতনতা বৃদ্ধি অভিযানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রিঙ্কু দেশের অন্যতম সেরা একজন ক্রীড়াবিদ্‌ ঠিকই কিন্তু একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদের সাথে তাঁর বাগদান যে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে, তাও জানিয়েছে তারা। “ওনার ব্যক্তিগত সম্পর্ককে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক সংযোগ হিসেবে দেখা হতে পারে, আর তা হলে এই কর্মসূচীর নির্দলীয় থাকার প্রচেষ্টা ভেস্তে যেতে পারে,” বিবৃতি জারি করেছে কমিশন।

এই সিদ্ধান্তের পর রিঙ্কু সিং-এর (Rinku Singh) ছবি ও নাম সম্বলিত যাবতীয় প্রচার সামগ্রী- পোস্টার, ব্যানার, ভিডিও ও অন্যান্য ডিজিটাল কন্টেন্ট সরিয়ে ফেলার জন্য উত্তরপ্রদেশের সব জেলাকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রিঙ্কু বা সরোজ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেন নি। তবে নেটদুনিয়া বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। রিঙ্কুর (Rinku Singh) উপস্থিতি প্রভাবিত করতে পারে ভোটারদের, জানিয়েছেন কেউ কেউ। তাঁরা স্বাগতই জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ’কে। ‘নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত একদম সঠিক,’ লিখেছেন তাঁরা। নেটিজেনদের একাংশ আবার এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ‘অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে কমিশন,’ উঠেছে অভিযোগের আঙুল। সরিয়ে দেওয়ার চেয়ে রিঙ্কুর জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে পারতেন কমিশনের কর্তা’রা, মনে করছেন তাঁরা।

Also Read: চলতি টেস্টে গম্ভীরের দাদাগিরি, দল থেকে ছেঁটে ফেললেন জসপ্রীত বুমরাহকে !!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *