এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) দুরন্ত জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ভারতীয় দল। প্রথম ম্যাচেই তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৯ উইকেটে পরাজিত করেছে। পরবর্তী হাইভোল্টেজ ম্যাচে ব্লু ব্রিগেডরা পাকিস্তানের (IND vs PAK) বিপক্ষে মাঠে নামবে। বর্তমানে যেই ফর্মে রয়েছে সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) দল তাতে পাক বাহিনীদের সহজেই হারিয়ে দেশের আত্মসম্মান বজায় রাখবেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। টুর্নামেন্ট জুড়ে রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)’এর মতো তারকা দলের হয়ে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠে মুগ্ধ করতে প্রস্তুত। এর মধ্যেই সতীর্থের হানিমুনে এই তরুণ ব্যাটসম্যানের ভ্রমণ করার বিষয়ে মজার গল্প সামনে এলো।
বন্ধুর হানিমুনে ছিলেন রিঙ্কু-

কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) হয়ে আইপিএলে (IPL 2025) বিধ্বংসী ব্যাটিং করে নিজের পরিচয় তৈরি করেছিলেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। তিনি জাতীয় দলের হয়েও সুযোগ পেয়ে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। ফলে এই বছরের এশিয়া কাপেও দেশের হয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই তারকা। এই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের জন্য দেশ ছাড়ার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দেন রিঙ্কু। সেখানেই তিনি জানান সতীর্থ বন্ধুর হানিমুনে তিনি সঙ্গে ছিলেন এবং প্রথমবারের মতো বিদেশে ভ্রমণ করেন।
এই তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান বলেন, “আমি তখন কখনও ভারতের বাইরে যায়নি। বিদেশি মানুষদের জীবনযাত্রা নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল। নীতিশ রানা (Nitish Rana) ভাইয়ের বিয়ে হয়েছিল ২০১৯ সালে। তিনি আমাকে ইউরোপে হনিমুনে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমি আর রাহুল তেওয়াটিয়া (Rahul Tewatia) সঙ্গে গিয়েছিলাম। নীতিশ রানা চাইতেন আমি সেখানে ইংরজিতে কথা বলি। রেস্তোরাঁয় বিয়ে গিয়ে অর্ডার করি। ইংরেজি বাক্য তৈরি করতে আমার সমস্যা হতো। ইশারা করে অর্ডার দিতাম।”
ইংরাজি না জানা নিয়ে হতাশ রিঙ্কু-

রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) অন্যান্য ক্রিকেটারদের মতো ইংরাজি বলতে পারেন না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি এই বিষয়ে বলেন, “এটা আত্মবিশ্বাসের বিষয়। আমি ইংরেজি বলতে পারি। আমি রাসেলের (Andre Russell) সাথে কথা বলি। কিন্তু ইংরেজি বলার জন্য একটা পরিবেশের দরকার হয়। আইপিএলে আমার স্বাভাবিকভাবে ইংরেজি চলে আসে। আমার খারাপ লাগে কারণ আমি ভালো ইংরেজি জানি না। কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav) ভাইয়ের সঙ্গে আমি নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলাম। তিনি সেখানে অর্ডার দিয়েছিলেন।”
শেখার জন্য আগ্রহী রিঙ্কু। তিনি বলেন, “কুলদীপ ভাই আমায় জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কবে ইংরেজি শিখবো। তখন আমি ভাবলাম আমার ইংরেজি শেখা উচিত। যদি আমি কোথাও আটকে যায় সেই জন্য আমার এটা জানা দরকার। বিদেশে অনেক সময় কথা বলতে গিয়ে আমি থেমে যাই। আমি শেখার জন্য ক্লাস করছিলাম কিন্তু পারছিলাম না। সেই সময় নিজেকে পাগলের মতো লাগছিল।”