আরও কঠিন হয়ে তারকা পাক পেস বোলার মহম্মদ আমিরের এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা। চলতি ইংল্যান্ড সফরে সাউথহাম্পটনে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে তাকে দেখা যায়নি প্রথম দলে, এরপর থেকে বিভিন্ন মহলে তৈরী হয়েছিল প্রশ্নচিহ্নের, এরপর পাক টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছিল ” ভাইরাল ইনফেকশন ” এর দরুন এই ম্যাচে নামা সম্ভব হয়নি আমিরের পক্ষে, কিন্তু বর্তমানে যা শারীরিক অবস্থা তাতে তার মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় একদিনের ম্যাচেও মাঠে নামা ঘিরে তৈরী হয়েছে প্রশ্ন চিহ্নের।
২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর থেকেই দেশের জার্সি গায়ে আমিরের পারফরম্যান্স খুব একটা উল্লেখযোগ্য নয়, তারপর থেকে এখনও অবধি ১৫ টি একদিবসীয় ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।নিয়েছেন মাত্র ৫ টি উইকেট।যদিও খুব একটা রান দেননি তিনি এই পরিসরে।তার ইকনমি রেট – ৪.৫৮।
এরপর গতমাসে যখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে দল ঘোষণা করা হয় আসন্ন বিশ্বকাপের তখন পনেরো জনের দলে সুযোগ হয়নি তার।যদিও তাকে একটা শেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল নির্বাচকদের তরফে নিজেকে প্রমান করার , পাক দলের ইংল্যান্ড সফরের দলে সুযোগ দিয়ে।কারন আগামী ২৩ শে মে অবধি যে কোনও দেশ আইসিসি ‘র অনুমতি ছাড়াই বিশ্বকাপের দলে পরিবর্তন করার সুযোগ পাবে নিয়ম অনুযায়ী।
নির্বাচকদের কাছে নিজেকে প্রমান করতে অন্তত একটি ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরার প্রয়োজন আমিরের, অথচ তার যা শারীরিক অবস্থা সেক্ষেত্রে তৈরী হয়েছে প্রশ্নচিহ্নের, মনে করা হচ্ছে তার ” চিকেন পক্স ” হয়েছে ,তাই সিরিজের বাকী ম্যাচ গুলোয় তাকে আর খেলতে দেখা যাবে কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যে তৈরী হয়েছে প্রশ্নচিহ্নের।কারন কবে সেরে উঠবেন তিনি তা ঘিরে ইতিমধ্যে তৈরী হয়েছে প্রশ্নচিহ্ন।
২০১০ সালে লর্ডসে ফিক্সিং কান্ডের পর সবধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে যেতে হয়েছিল এই তারকা পেস বোলার কে, যার মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।ফলে নিজের সেরা সময়ে ২০১১, ২০১৫ এর বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হয়নি তার।এরপর নির্বাসন কাটিয়ে ফিরে এসেও দেশের জার্সি গায়ে প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলো হয়তো এই পাক পেস বোলারের এমনটাই মনে করা হচ্ছে।