“রহস্যময় স্পিনার ” তিনি, তার দুর্ভেদ্য বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না বোলারদের।একের পর এক দুরন্ত পারফরম্যান্স এর মধ্যে দিয়ে হয়ে উঠেছিলেন আফগানিস্তান ক্রিকেটের বেতাজ বাদশাহ।সেই রাশিদ খান, আজ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের অন্যতম খারাপ ম্যাচটি খেলে ফেললেন আজ । স্পর্শ করলেন লজ্জা জনক রেকর্ড।
এদিন ম্যান্চেষ্টারে আফগান বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলে খেলা করলেন ইওন মর্গ্যানরা।এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেম ইওন মর্গ্যান।এবং প্রথম থেকেই মারমুখী আক্রমণ করা শুরু করে ব্যারিস্টোরা।আর এরপর ক্রিজে মর্গ্যান এলে আর রক্ষে থাকে না রাশিদের।এদিন কেরিয়ারের ১২ তম শতরানটি করে ফেললেন মর্গ্যান।মাত্র ৭১ বলে দুরন্ত ১৪১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।মেরেছেন চারটি চার এবং ১৭ টি ছয় !
তার বোলিংয়ের বৈচিত্র্যের কাছে বারেবার আমরা পরাস্ত হতে দেখেছি বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের, সেই রাশিদ কে আজ বেধড়ক পিটিয়ে মামুলি মানের বোলার বানিয়ে দিলেন মর্গ্যানরা।সাক্ষী হলেন এক লজ্জাজনক রেকর্ডের এই আফগান বিস্ময়।নয় ওভার বল করে ১১০ রান খেয়েছিলেন ,যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জাজনক বোলিং পারফরম্যান্স একজন বোলারের।এর আগে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়া বোলারের রেকর্ডটি ছিলো নিউজিল্যান্ডের পেসার মার্টিন স্নেডেন এর।১৯৮৩ এর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১২ ওভার বল করে ১০৫ রান খরচ করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।২০১৫ সালে সিডনিতে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ১০ ওভার বল করে ১০৪ রান খেয়েছিলেন তিনি।শুধু বিশ্বকাপের রেকর্ড ই নয় ,রাশিদের এইদিন বোলিং পারফরম্যান্স একদিবসীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশী রান খরচকারী ক্রিকেটারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে জায়গা করে দিয়েছে, তার আগে এই তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার মিক লুইস এবং পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ।
এদিন ৪০০ রান লক্ষমাত্রা রাখার থেকে মাত্র তিন রান দুরে থামতে হয় ইংল্যান্ড কে।আপাত নিরিখে শান্ত ইওন মর্গ্যান আজ শুরু থেকেই খুনে মেজাজ ছিলেন।আজ রেকর্ড ভাঙলেন তিনি ও।এর আগে একদিবসীয় ক্রিকেটে একটি ইনিংসে সবচেয়ে বেশী ছয় মারার রেকর্ড ছিলো আগে তিন ব্যাটসম্যানের।ক্রিস গেইল, রোহিত শর্মা এবং এবিডি ভিলিয়ার্সের।তিন ব্যাটসম্যান ১৬ টি করে ছয় মেরেছিলেন, আজ সেই রেকর্ড ভেঙে ১৭ টি ছয় মেরে এই রেকর্ডের নতুন মালিক হলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।