ভারতীয় ক্রিকেটের দুই বড় তারকা হলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুজনকে সেভাবে আর সক্রিয় ভাবে দেখা না গেলেও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই দুই ব্যাটার এখনও সক্রিয়। সম্প্রতি তাদের ওডিআই ফরম্যাট থেকেও অবসর নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে। অনেকেই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। বিশেষ করে আগামী ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে অস্ট্রেলিয়া সফরকে কেন্দ্র করেই বেশ খবর প্রকাশ্যে এসেছে। বেশ কিছু রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, অস্ট্রেলিয়া সফরেই শেষ হতে চলেছে রোহিত ও কোহলির ক্যারিয়ার।
কিন্তু এ বিষয়ে বিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা স্পষ্টভাবে এটি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। মন্তব্য করে তিনি বলেছেন রোহিত ও কোহলির অবসর নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার অবসর নিয়ে বেশ বড় বয়ান দিয়েছেন। স্পষ্টত তিনি এসব ঘটনা গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন। যে প্রসঙ্গে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “অবসর কোথা থেকে আসলো ? রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলি তো এখনো ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছেন। অবসরের কথা কীভাবে আসছে? আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, বিসিসিআই কখনো কোনো খেলোয়াড়কে অবসর নিতে বলেনি।” শুক্লা স্পষ্ট করে আরও জানিয়েছেন যে, বিসিসিআই কখনও কোনো খেলোয়াড়কে অবসর নিতে বাধ্য করেনা। খেলোয়াড়রা ব্যাক্তিগত মতাদর্শেই অবসর নিয়ে থাকেন।
Read More; “শুভমানই আমার আদর্শ…” সাফ জানালেন প্রিয়াংশ আর্য, লাল বলের ক্রিকেটই পাখির চোখ তরুণ তুর্কি’র !!
অবসর নিচ্ছেন না রোহিত-কোহলি

মন্তব্য করে রাজীব শুক্লা আরও বলেছেন, “বিসিসিআই কোনো খেলোয়াড়কে কখনও অবসর নিতে বলে না। খেলোয়াড়কে (অবসর নিয়ে) নিজের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা সবসময় তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।” রোহিত ও বিরটাকে নিয়ে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, “বিরাট কোহলি এখনও ফিট ও দারুণ খেলছেন, অন্যদিকে রোহিত শর্মাও ভালো ফর্মে। কোথা থেকে অবসরের কথা আসছে ?”
সম্প্রতি বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়া রোহিত ও বিরাটের অবসরের জল্পনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজীব শুক্লা। তিনি মন্তব্য করে বলেছেন, “এই ব্যাপারটাতে এত মাথা গলানোর কি আছে ? আমরা সীমা ছাড়াচ্ছি। আপনারা তো দেখছি, ওদের ফেয়ারওয়েল ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছেন। ওদেরকে নোজেদের নিয়ে থাকতে দিন, এত ফেয়ারওয়েল নিয়ে এত চিন্তা কীসের?“