IPL 2025: দীর্ঘ ১৭ বছর পর চেপকে জয় সুনিশ্চিত করলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। শেষবার ২০০৮ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে চেন্নাইয়ের মাঠে জয় এসেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু দলের। আজ দীর্ঘ সময় বাদে চেন্নাইকে ৫০ রানে পরাস্ত করলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স দল। আজকের ম্যাচের কথা বলতে গেলে, টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঋতুরাজ গাইকোয়ার্ড। প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে ১৯৬ রান বানিয়ে ফেলে RCB দল।
৫০ রানে জয় সুনিশ্চিত করলো RCB

ব্যাট হাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স দলের হয়ে আগ্রাসী সূচনা দেন ফিলিপ সল্ট। ১৬ বলে ৩২ রান বানান সল্ট। কিং কোহলি ৩০ বলে ৩১ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দেবদত্ত পাদ্দিকাল ১৪ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন। ক্যাপ্টেন রজত পতিদারের ব্যাট থেকে এসেছিল ৩২ বলে ৫১ রানের ইনিংস এবং শেষের দিকে ২২ রানের ইনিংস খেলে দলকে ১৯৬ রানে পৌঁছে দেন ডেভিড। চেন্নাইয়ের হয়ে সবথেকে বেশি সফলতা পান নূর আহমেদ, ৩ উইকেট পেয়েছেন আফগান তারকা।
Read More: IPL 2025: KKR ভক্তদের জন্য দুঃখের খবর, লখনৌয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে বড় ঘোষণা করলো BCCI !!
জবাবে ব্যাটিং করতে এসে, চেন্নাই সুপার কিংস পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩০ রানের ভিতর ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বাধিক ৪১ রানের ইনিংস খেলেন রচিন রবিন্দ্র, তাছাড়া এমএস ধোনির ব্যাট থেকে ১৬ বলে ৩০ রানের ইনিংস দেখতে পাওয়া গিয়েছিল যার দৌলতে সর্বকুল ১৪৬ রান বানাতে সক্ষম হয় চেন্নাই সুপার কিংস। ৫০ রানে জয় সুনিশ্চিত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স দল। RCB-এর পক্ষ থেকে সবথেকে সফল বোলার ছিলেন জোশ হ্যাজেলউড। তিনি তিন উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ম্যাচ সেরা হলেন রজত পতিদার

৩২ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলার জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন রজত পতিদার। ম্যাচ সেরা হয়ে মন্তব্য করে পতিদার বলেছেন, “এই মাঠে এটা ভালো স্কোর ছিল। বল একটু থমকে আসছিল, এটা ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ নয়। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে চেন্নাইতে খেলা সহজ নয়। এখানে সমর্থকরা চেন্নাইকে খুব ভাবে সমর্থন করে। শুধু চেন্নাই দল প্রতিটি দল তাঁর ঘরের মাঠে ভালো। আমরা ২০০ রানের কাছাকাছি বানানোর লক্ষ রেখেছিলাম। আমরা জানতাম এখানে তাড়া করা সহজ নয়। আমার লক্ষ্য স্পষ্ট ছিল যে যতক্ষণ আমি সেখানে ছিলাম ততক্ষণ আমি প্রতিটি বল মারার চেষ্টা করে যাব। আমরা তাই ব্যাটিং লাইন আপ পরিবর্তন করিনি, গত খেলার মতোই একই রেখেছিলাম। স্পিনারদের জন্য ট্র্যাকটি বেশ সহায়ক ছিল। আমরা শুরুতেই স্পিনারদের ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম এবং লিভিংস্টোন যেভাবে বোলিং করেছেন তা অসাধারণ ছিল। (হ্যাজেলউডের প্রথম স্পেল) এটা খেলার রূপ বদলে দিয়েছিল। পাওয়ারপ্লেতে আমরা ২-৩ উইকেট পেয়েছি, তারা কীভাবে ধারাবাহিকভাবে হার্ড লেন্থে বল করেছে তা দেখে বেশ অবাক লাগলো।”