বেঙ্গালুরু: বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যান প্রোলু রবীন্দ্র ২৯ বলে শতরান হাঁকিয়ে অন্য সবাইকে ছাপিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলে ফেললেন। এর মাধ্যমে নিজের আইডল বীরেন্দ্র সেহওয়াগকেও সম্মান জানাল দশম শ্রেণীর এই ছাত্রটি।
কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ‘গ্রুপ ওয়ানে’ বেঙ্গালুরুর রাজেশ্বরী নগরে মুখোমুখি হয়েছিল, সিটি জিমখানা ক্লাব এবং জয়পুর ক্লাব। সেই ম্যাচে জিমখানা ক্লাবের হয়ে ২৯ বলে সেঞ্চুরি করে সব রেকর্ড দুমড়ে মুচড়ে দেন প্রোলু। শেষমেষ তিনি ৫৮ বলে ১৪৪ রান করেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল চারটি চার ও ১৩টি ছ’য়ের মাধ্যমে। প্রোলুর এই ধামাকেদার ইনিংসের সৌজন্যে জিমখানা ৪০৩ রানের বিশাল রান খাড়া করে। এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে জয়পুর ক্লাব মাত্র ২২৯ রান সংগ্রহ করতে পারে। প্রোলুর এই ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় সিটি জিমখানা ক্লাব।
ম্যাচ শেষে প্রোলু বলেন, “বীরেন্দ্র সেহওয়াগ আমার রোল মডেল। এখন আমি দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার লক্ষ্য আইপিএলের কোনও দলের হয়ে খেলা।পাশাপাশি ক্রিকেটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে বাবা মাকেও সাহায্য করতে চাই।”
২৯ বলে সেঞ্চুরি করে যে কোনও স্তরের ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড গড়লেন প্রোলু। তার রেকর্ডের সঙ্গে অবশ্য তুলনা চলে আসবে দিল্লির মোহিত আলওয়াতের। বিশ্বের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসাবে যিনি টি-২০ ক্রিকেটে ট্রিপল-সেঞ্চুরি করেছেন। তবে, ওই ইনিংসে মোহিত কত বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন তার কোনও হিসেব-নিকেশ নেই। কিন্তু প্রোলু রবীন্দ্রর ক্ষেত্রে সব হিসেব রয়েছে। ফলে সরকারিভভাবে তার দখলে রইল দ্রুততম শতরানের রেকর্ড।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে, ওয়ানডেতে দ্রুততম শতরানের রেকর্ডটি রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি’ভলিয়ার্সের দখলে, যিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩১ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। আর টেস্ট ক্রিকেটে এই রেকর্ডের মালিক নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনি রেকর্ডটি গড়তে মাত্র ৫৪ বলের সাহায্য নেন। অন্যদিকে টি-২০ আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে এই রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড লেভি। তিনি ২০১২ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করেন মাত্র ৪৫ বলে।