ভারতীয় জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্মেন্স করে নির্বাচকদের নজরে আসার চেষ্টা করেন ক্রিকেটাররা। তফে অনেক ক্রিকেটার ধারাবাহিকতা দেখালেও বিভিন্ন কারণে জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারেন না। যা নিয়ে নির্বাচক এবং প্রধান কোচের ওপর অভিযোগও করেন তারা। সাম্প্রতিক সময় সরফরাজ খান (Sarfaraz Khan), মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) মতো তারকারা সুযোগ না পাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। এবার ভারতীয় ক্রিকেটে এক লজ্জাজনক ঘটনা সামনে এল। দলে জায়গা না পাওয়ায় কোচকে ধরে বেধড়ক মার দিলেন ক্রিকেটাররা। এই রকম ঘটনায় রীতিমতো অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা।
Read More: “ব্যাটে-বলের বাজিমাত..”, ১০১ রানে দঃ আফ্রিকাকে হারিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুর্নিশ ভারতীয় দলকে !!
কোচকে ধরে মার দিল ক্রিকেটারের-

সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষ হয়েছে। পন্ডিচেরি গ্ৰুপ পর্বে ৭ ম্যাচের মধ্যে ৩ ম্যাচে হারের সম্মুখীন হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ইতিমধ্যেই ছিটকে গেছে। এবার এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টে সুযোগ না পেয়ে এই রাজ্যের ক্রিকেটাররা কোচকে আক্রমণ করে বসলেন। এস ভেঙ্কটেশ (S Venkatesh) হলেন পন্ডিচেরি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দলের কোচ। তাকে তিন ক্রিকেটার আচমকাই আক্রান্ত করে এলোপাথাড়ি মারধর করে।
গুরুতর আঘাতে কাঁধের হাড় সরে যায়। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কপালে ২০ টি সেলাই পর্যন্ত করতে হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী এই তিন ক্রিকেটার সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে (Syed Mushtaq Ali Trophy) সুযোগ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এই কান্ড ঘটিয়েছেন। কোচ দাবি করেছেন যে এই ঘটনার পিছনে পন্ডিচেরি ক্রিকেট ফোরামের (Pondicherry Cricket Forum) সম্পাদক জি চন্দ্রনের (G Chandran) উস্কানী রয়েছে। তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সেদারাপেট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তদন্তে নেমেছে পুলিশ-

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয় সোমবার সকালে ভেঙ্কটেশ অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় কার্তিকেয়ন, অরবিন্দ রাজ ও সন্তোষ কুমারন নামে তিন ক্রিকেটার আচমকা আক্রমণ চালান। তাদের অভিযোগ ছিল কোচ ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের দলের জায়গা পাওয়ার বিষয়টি আটকে দিয়েছে। খুনের পরিকল্পনাতেই আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেবে তিন ক্রিকেটারের খোঁজ চালাচ্ছে। তারা আপাতত পলাতক।
এর মধ্যেই ক্রিকেট ফোরামের প্রধান সেন্থিল কুমারন সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “ভেঙ্কটেশ স্থানীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেন। অশালীন ভাষায় গালি দেন। চন্দ্রনের বিরুদ্ধে ওর চাপা রাগ রয়েছে। এর আগে এই কোচের নামে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছিল।গত সাত বছর ধরে আমরা এই বিষয়ে বিসিসিআইয়ের (BCCI) সঙ্গে কথা বলেছি।”