এর আগে ২০১৫ থেকে ২০১৬ অবধি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচের ভুমিকায় দেখা গেছিলো।এইবার ফের সেই পদে প্রত্যাবর্তন করলেন ফিল সিমন্স। সোমবার, ১৪ ই অক্টোবর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে সিমন্সকে জাতীয় দলের কোচের পদে আনার কথা জানানো হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে।তিনি ছাড়াও তালিকায় ছিলেন ডেসমন্ড হেনস এবং ফ্লইড রেইফার।তবে সিমন্সের উপর আস্থা রাখলো ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড।আগামী চার বছর তার হাতেই তুলে দেওয়া হলো জাতীয় দলের দায়িত্ব।
বছর ৫৬ এর সিমন্স, ক্রিকেট জগতের একজন নামজাদা কোচ, এর আগে ইন্ডিজের দায়িত্ব তিনি পেয়েছিলেন ২০১৫ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর।তার কোচিংয়ে ২০১৬ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।এটি ছিলো ইন্ডিজের দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়।
যদিও পরবর্তী সময়ে সেপটেম্বর, ২০১৬ সালে বোর্ডের সাথে মতবিরোধ তৈরী হওয়ায় পদের থেকে সরে দাড়ান তিনি।তার কোচের পথ থেকে সরে যাওয়ার পর সমস্যার মুখে পরে ইন্ডিজ ক্রিকেট দল।ব্যার্থ হয় ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করতে, সমস্যার সন্মুখীন হয় ২০১৯ এর বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে।
এই সময় দলের দায়িত্বে ছিলেন ফ্লইড রেইফার।এবারের বিশ্বকাপে তেমন কিছু করে উঠতে পারেনি গেইলরা।গ্রুপ পর্যায় তারা দুটো ম্যাচে জয় পায়।শেষ করে নয় নম্বর স্থানে।
সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট রিকি স্কেরিট জানান, ” সিমন্সকে ফিরিয়ে এনে শুধুমাত্র নিজেদের পুরানো ভুল শোধরানোই নয়, পাশাপাশি একজন যোগ্য ব্যাক্তিকে কোচের পদে এনেছি আমরা।ধন্যবাদ জানাই ফ্লইড রেইফার কে দলের জন্য তার মধ্যবর্তী কোচ থাকা কালীন পরিশ্রমের জন্য ” ।
এর আগে আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের কোচের পদে এসে দারুন সাফল্য পেয়েছিলেন সিমন্স।সম্প্রতি তাকে আবেদন করতে দেখা গেছিলো ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদে।এমনকি শেষ পাঁচ অবধি তার নাম থাকলেও , ফাইনাল ইন্টারভিউ এর আগে নিজেকে সরিয়ে নেন।
কোচ হিসেবে ভারত সফরে ফের কাজ শুরু করতে চলছে সিমন্স।খেলবে আফগানিস্তান এবং ভারতের বিপক্ষে।আফগানদের বিপক্ষে খেলবে তিন টি টোয়েন্টি, তিন ওয়ানডে এবং একটি মাত্র টেস্ট, খেলা হবে ৫ ই নভেম্বর থেকে ১ লা ডিসেম্বর।পরবর্তী সময়ে ৬ ই থেকে ২২ শে ডিসেম্বর ভারতের বিপক্ষে খেলবে তিনটে টি ২০ এবং তিনটে ওয়ানডে।