আইসিসি’র ইভেন্ট ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২৫-এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) আয়োজিত হতে চলেছে পাকিস্তানের মাটিতে। ১৯৯৬ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতের সাথে যৌথ আয়োজক হিসেবে ছিলো তারা। এরপর থেকে কোনো বড় মাপের আইসিসি টুর্নামেন্টের আসর বসে নি পাকিস্তানের মাটিতে। প্রায় তিন দশক পর এই সুযোগ আসায় উৎসাহী সে দেশের ক্রিকেটজনতা। ভারত পড়শি দেশে পা রাখতে আপত্তি জানানো সত্ত্বেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) আয়োজনের স্বত্ব ছাড়তে রাজী হয় নি পিসিবি। তারা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গোটা টুর্নামেন্ট দেশেই আয়োজন করার। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১২৬০ কোটি টাকার প্রকল্পও ঘোষণা করা হয়েছে। লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও করাচীতে কাজ চলছে।
Read More: W, W, W, W, W…অনবদ্য বোলিং অংশুল কম্বোজের, প্রাণহীন পিচেও ছোটালেন গতির আগুন !!
নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনবে পাকিস্তান?
আগামী ডিসেম্বরে আইসিসি’র সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন ভারতের জয় শাহ (Jay Shah)। টিম ইন্ডিয়ার দাবী মেনে টুর্নামেন্টের সিংহভাগ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে তিনি যদি সিলমোহর দেন তাহলে এমনিতেই সমস্যায় পড়তে পারে পিসিবি। তাদের কাছে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠতে পারে পরিকাঠামো উন্নয়নের মন্থর গতি। যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (CT 2025) ভেন্যু বদলের ক্ষেত্রে বাড়তি অস্ত্র তুলে দিতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই-এর হাতে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে গ্যালারিতে ডেকরেটরের চেয়ার ব্যবহার, কখনও সিসিটিভি চুরি যাওয়ার মত বিষয় সামনে এসেছে পাক ক্রিকেটে। পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকার দাবী এমনিই উঠেছে, মাঠ’ও যদি সময়ের আগে প্রস্তুত না হয় তা যে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পিসিবি’কে আরও সমস্যায় ফেলবে তা জানেন চেয়ারম্যান মহসীন নকভি (Mohsin Naqvi)।
পাক-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ নিয়েও ধোঁয়াশা-
আইসিসি’র কাছে খসড়া সূচি জমা দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ-এর টুর্নামেন্ট আয়োজনের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ক্যালেন্ডারের হিসেবে অনুযায়ী এখনও পাঁচ মাস সময় পাচ্ছে পিসিবি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (CT 2025) জন্য স্টেডিয়ামের কাজ ঢিমেতালে চলায় আপাতত বিশ বাঁও জলে পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ’ও। আধা প্রস্তুত স্টেডিয়ামে কি করে ইংল্যান্ডের মত হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন বাবর, শাহীনরা তা ঠিক করতে কালঘাম ছুটছে মহসীন নকভিদের। পিসিবি’র অন্দরের এক সূত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যম PTI-কে জানিয়েছে, “প্রথম টেস্ট শুরু হতে এখনও এক মাস’ও বাকি নেই। খেলাটি আদৌ কোথায় আয়োজন করা যাবে তাই জানা নেই কারও।”
এমতাবস্থায় যদি সিরিজ দুবাই বা অন্য কোথাও সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে পিসিবি’র যে মুখ পুড়বে তা আন্দাজ করতে পারছেন নকভি সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। পিসিবি সূত্র তাই জানিয়েছে, “চেয়ারম্যান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে সিরিজ সরে গেলে পিসিবির সম্মানহানী হবে। তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য রাওয়ালপিন্ডি ও মুলতান’কে ব্যবহার করতে হবে। এখনও পর্যন্ত সঠিক সূচি ঘোষণা করা যায় নি, যা চেয়ারম্যানকে ক্ষুব্ধ করেছে। কারণ ঘোষণা করতে যত দেরী হবে, এই তিন ম্যাচের সিরিজ থেকে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রেও তত সমস্যার মুখে পড়তে হবে বোর্ডকে।” ৭ অক্টোবর থেকে রয়েছে প্রথম টেস্ট ম্যাচ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শেষ করতে পারবে পিসিবি? উত্তরের অপেক্ষায় সকলে।
Also Read: পছন্দের ভারতীয় একাদশ বাছলেন পীয়ূষ চাওলা, সর্বকালের সেরাদের তালিকায় তারকার সমারোহ !!