পাকিস্তান এই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy 2025) আয়োজক দেশ হিসেবে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল। এই নিয়ে ২৯ বছর পর কোনো আইসিসি (ICC) টুর্নামেন্ট আয়োজন করলো তারা। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (PCB) সুদিন ফিরে আসার কোনো লক্ষণ নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) আয়োজন করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার বদলে এবার ক্ষতির মুখে পড়েছে। টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে গিয়ে পিসিবি (PCB) যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে তার অর্ধেকও উপার্জন করতে পারেনি। ফলে পাক ক্রিকেটারদের বিলাসবহুল জীবনযাপনও এবার সমস্যার মুখে পড়লো।
আর্থিক ক্ষতির মুখে পিসিবি-

এই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy 2025) পাকিস্তান আয়োজক দেশ হওয়ায় বিসিসিআই ক্রিকেটারদের এই প্রতিবেশী দেশে টুর্নামেন্টের জন্য পাঠাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। এর ফলে ‘মেন ইন ব্লু’-দের ম্যাচগুলি দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল। ভারত বনাম পাকিস্তানের (IND vs PAK) সবচেয়ে বেশি লাভজনক ম্যাচটিও পাকিস্তানের মাটি অনুষ্ঠিত হয়নি। এর সঙ্গেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (CT 2025) ফাইনাল এবং সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও দুবাইয়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে আয়োজক দেশে মোট ১০ টি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৩ টি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। পাকিস্তান নিজের ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাত্র ১ একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিল। ফলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)।
আয়ের থেকে ব্যয় বেশি পিসিবির-

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (CT 2025) জন্য পাকিস্তান করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে তিনটি স্টেডিয়াম প্রস্তুত করেছিল। এই তিনটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্য পিসিবি (PCB) ৫৮ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৫০৪ কোটি টাকা খরচ করেছিল। এরপর এই গুরুত্বপূর্ণ আইসিসি টুর্নামেন্টকে আয়োজন করার জন্য আরও ৪০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৩৪৭ কোটি টাকা খরচ করে তারা। কিন্তু আয়োজক দেশ হিসেবে আইসিসি পিসিবিকে মাত্র ৬ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৫২ কোটি টাকা দিয়েছে। ফলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) বর্তমানে ৮৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৩৯ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর ফলে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি কমিয়ে দিয়েছে পিসিবি। আসন্ন জাতীয় টি-টোয়েন্টি কাপে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি ৪০,০০০ টাকা কমিয়ে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি বাবর আজমদের (Babar Azam) এখন বিদেশ সফরে পাঁচ তারা হোটেলের বদলে সাধারণ হোটেলে পর্যন্ত থাক থাকতে হবে।