আগামী বছর বাংলদেশের স্বাধীনতার সবচেয়ে বড়ো নায়ক শেখ মুজিবুর রহয়ানের জন্ম শতবর্ষের উদ্বযাপনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এশিয়া একাদশ আর বিশ্ব একাদশের মধ্যে দুটি টি-২০ ম্যাচের আন্তর্জাতিক সিরিজের আয়োজন করছে। এই টি-২০ সিরিজের জন্য আইসিসির তরফে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা অংশ না নিলে তবেই ভারতীয় খেলোয়াড়রা নেবেন অংশ
আগামি বছর মার্চে হতে চলা এই দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজে যেখানে একদিকে বিশ্বের দিগগজদের নিয়ে সজ্জিত টিম থাকবে তো অন্যদিকে এশিয়ার দিগগজদের নিয়ে দল থাকবে। কিন্তু বিসিসিআই এতে ভারতের খেলোয়াড়দের খেলার আগে একটি শর্ত রেখেছিল। বিসিসিআই কড়া মনোভাব দেখিয়ে এশিয়া ইলেভেনের দলে ভারতীয় খেলোয়াড়দের অংশ নেওয়ার আগে পরিস্কার শব্দে বলেছিল যে এতে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের শামিল না করা হলে তবেই তারা এশিয়া ইলেভেনের দলে নিজেদের খেলোয়াড়দের অংশ নিতে পাঠাবে।
পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের না খেলা নিয়ে পিসিবি দিল সাফাই
বিসিসিআই তো পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে না খেলার কথা বলেছিল যারপর পিসিবি স্বয়ং এটা স্পষ্ট করেছেন যে তাদের খেলোয়াড়রা এই টি-২০ সিরিজে অংশ নেবেন না। যারপরই ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের এশিয়া ইলেভেনের দলে অংশ নেওয়ার কথা সামনে এসেছে। পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের এই টি-২০ সিরিজে না খেলার কথা নিয়ে এখন পিসিবির প্রবক্তা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের না খেলা নিয়ে সাফাই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, “বিশ্ব একাদশ আর এশিয়া একাদশের মধ্যে টি-২০র তারিখ ১৬ আর ২০ মার্চ নির্ধারিত করা হয়েছে, অন্যদিকে এইচবিএল আর পিএসএল ২২ মার্চ ২০২০তে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু দুই সিরিজেরই তারিখের পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, এই কারণে আমরা বিসিবিকে দুঃখ প্রকাশ করেছি লিখিত আর মৌখিক দুইভাবেই যা ওর বুঝেছে আর স্বীকারও করে নিয়েছে”।
তিনি আগে বলেন যে, “এটা দুর্ভাগ্যজনক যে তথ্যকে পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থক আর অনুরাগীদের ভুল বোঝানোর জন্য ঘোরানো হয়েছে”।
বিসিসিআইয়ের তরফে বলা হয়েছিল এই কথা
এর আগে বিসিসিআইয়ের তরফে সংযুক্ত সচিব জয়েশ জর্জ বলেছিলেন যে, “আমরা যেটা জানি সেটা হল যে এশিয়া একাদশে কোনো পাকিস্তানী খেলোয়াড় থাকবে না। এটা নিঃসন্দেহে এই কারণে যে দুই দেশের একসঙ্গে আসার বা একে অপরকে বাছার কোনো প্রশ্নই নেই। সৌরভ গাঙ্গুলী সেই পাঁচ খেলোয়াড়দের নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেবেন যারা এতে অংশ নেবেন”। পাকিস্তান বোর্ডের প্রধান এহসান মানি পাকিস্তানকে ভারতের তুলনায় বেশি সুরক্ষিত মনে করেছেন আর বলেছেন যে, “আমরা প্রমান করে দিয়েছি যে পাকিস্তান সুরক্ষিত। যদি কেউ না আসে তো তাকে প্রমান করতে হবে যে এটা অসুরক্ষিত। এই সময় ভারত, পাকিস্তানের তুলনায় বেশি অসুরক্ষিত আর ঝুঁকিপূর্ণ দেশ”।