নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়া ২ টেস্ট ম্যাচ জয়ের পর টিম ইন্ডিয়ার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছানোর। গত দুবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রবেশ করেছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে ভারতীয় দল এখনও পর্যন্ত তৃতীয় বারের জন্য WTC ফাইনালে পৌঁছানোর চাবিকাঠি পায় নি। ভারতীয় দল বর্তমান কিছু সময়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বেশ প্রাধান্য দিচ্ছে। ২০২৪ সালে ভারত প্রথম ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডকে পরাস্ত করেছিল ৪-১ ব্যাবধানে। তবে ইংল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাদের বার্ষিক চুক্তির কথা প্রকাশ করেছিল। বার্ষিক কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বাদ পড়তে হয়েছিল ভারতীয় দলের তারকা দুই ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) ও ঈশান কিষানকে (Ishan Kishan)।
কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ছেন তারকা দুই ব্যাটসম্যান
ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার সিদ্ধান্ত নিতে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিল টিম ইন্ডিয়ার এই দুই তারকা খেলোয়াড়। বোর্ডের কথা উপেক্ষা করেই বড় ক্ষতি হয়েছিল দুই ক্রিকেটারের। ঠিক তেমনই দেখা গেল পাকিস্তান ক্রিকেটে, আজ ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য এক বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)। যেখানে তারকা ব্যাটসম্যান ফখর জামানও ইমাম উল হক সহ বেশ কিছু খেলোয়াড়দের বার্ষিক চুক্তি থেকে ছাঁটাই করেছে।
দীর্ঘ সময় পর ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ জিতলো পাকিস্তান। ইংল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে হারানোর পর দিন নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)। শেষ দুই টেস্টে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন বাবর আজম (Babar Azam)। তবুও ক্যাটাগরিতে ‘এ’তে রাখা হয়েছে বাবর আজমকে। এই ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও। তবে, প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদির অবনমন হয়েছে একধাপ। নতুন চুক্তিতে ক্যাটাগরি ‘বি’তে নেমে এসেছেন শাহীন।
ফিটনেস টেস্টে ব্যার্থ ফখর
তবে চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ফখর জামানকে (Fakhar Zaman)। বাবর আজম টেস্ট দল থেকে বাদ পড়তে মন্তব্য করতে গিয়েছিলেন ফখর, তাতেই তার সঙ্গে পিসিবির সম্পর্কটা বিগড়ে গিয়েছে। গত আট বছরে এই প্রথমবার বাদ পড়লেন তিনি। শুধু বাবরকে সমর্থন করার জন্য নয়, এছাড়াও হাঁটুর চোটের কারণে ভুগছেন ফখর। ফলে ফিটনেস টেস্টেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ৮ মিনিট সময়ের মধ্যে দুই কিলোমিটার দৌড়ানোর শর্তে সফল হননি ফখর। ফখর-ইমামের পাশাপাশি বাদ পড়েছেন হাসান আলী, ইফতিখার আহমেদ, সরফরাজ আহমেদ।