২০০৭-০৮এর পর থেকে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে একটিও টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়নি। আর যদি কোনো ওয়ানডে আর টি-২০ ম্যাচ খেলাও হয়ে থাকে তো তাও বেশিরভাগই আইসিসির ইভেন্টেই খেলা হয়েছে। ২০১২য় পাকিস্তানের দল ভারতে এসেছিল কিন্তু পাকিস্তানের এই ভারত সফরে স্রেফ তিনটি ওয়ানডে আর ২টি টি-২০ ম্যাচ খেলা হয়েছিল আর কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়নি। এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা হয়নি।
শোয়েব আকতার দিলেন দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রস্তাব
পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার শোয়েব আকতার নিজের একটি বয়ানে বলেছেন, “সংকটের এই সময়ে আমি দুই দেশের মধ্যে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রস্তাব রাখছি। প্রথমবার এই সিরিজে ফলাফলা যাই বেরক, দুই দেশের মধ্যে কারোরই ক্রিকেটপ্রেমীদের দুঃখ হবে না। বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করলে আমরা খুশি হব। বাবর আজম সেঞ্চুরি করলে আপনারা খুশি হবে। ম্যাচের ফলাফল যাই হোক, দুই দলই বিজয়ী হবে”।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দুই দেশের মধ্যে সমান সমান ভাগ করে দেওয়া হোক টাকা
শোয়েব আকতার আগে নিজের বয়ানে বলেন, “এই ম্যাচে যথেষ্ট দর্শক পাওয়া যাবে, কারণ অনেক বছর পর প্রথমবার দুই দেশ একে অপরের জন্য খেলবে। এতে যা টাকা পাওয়া যাবে, তা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দুই দেশে সমান সমান ভাগ করে দেওয়া হোক। এই মুহূর্তে সকলেই বাড়ি বসে রয়েছেন তো তারা এই ম্যাচ দেখবেন। যতই এখন না হোক, কিন্তু যখন পরিস্থিতি মজবুত হতে শুরু করবে তো এটা দুবাইতে খেলা যেতে পারে। এর জন্য চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কও উন্নত হতে পারে। সংকটের এই সময়ে দুই দেশকে একে অপরের সাহায্য করা উচিত। ভারত যদি আমাদের ১০০০০ ভেন্টিলেটর দেয় তো পাকিস্তান এটা সবসময় মনে রাখবে। আমরা তো শুধু ম্যাচের দাবী জানাতে পারি। বাকি আধিকারিকদের ঠিক করতে হবে”।
মানবিকতার বিষয় হওয়া উচিত
পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদির চ্যারিটিতে সাহায্য করার অনুরোধ করা ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিং আর হরভজন সিংয়ের সমালোচনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, “এটা অমানবীয়। এই সময় দেশ বা ধর্মের কথা নয়, মানবিকতার বিষয় হওয়া উচিত”।