BCCI

BCCI: এশিয়া কাপে বিপদের মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের হাইব্রিড মডেল প্রত্যাখ্যান করায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) আয়োজন করা এখন অসম্ভব। পাকিস্তান এশিয়া কাপ আয়োজনের জন্য একটি হাইব্রিড মডেল দিয়েছিল যা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যরা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই মডেল প্রত্যাখ্যান হওয়ার সাথে সাথেই এখন মনে করা হচ্ছে যে পাকিস্তান এশিয়া কাপ খেলবে না।

Also Read: ধর্ষণের অভিযোগ IPL তারকা মহসিন খানের বিরুদ্ধে, লাভ জিহাদের কাঁটায় তাঁর পরিবারকে বিঁধলেন নির্যাতিতা তরুণী !!

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পাকিস্তান (Pakistan) যদি এশিয়া কাপ না খেলে তাহলে তাদের অসুবিধে কি হবে? এশিয়া কাপে পাকিস্তান না থাকায় সম্প্রচারকারীদের অনেক ক্ষতি হতে পারে। এশিয়া কাপের সবচেয়ে বড় ম্যাচ হিসেবে ধরা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan)। বিশ্ববাসীর চোখ এই ম্যাচের দিকে। এই ম্যাচে বিজ্ঞাপনের অর্থও দ্বিগুণ হয়। স্পষ্টতই, যখন ভারত-পাকিস্তান লড়াই হবে না, সম্প্রচারকারীরা এই টুর্নামেন্ট থেকে সরে যেতে পারে।

হাইব্রিড মডেলকে সমর্থন করছে না কোন দেশ

BCCI

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) চেয়েছিল টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানের বাইরে অনুষ্ঠিত হোক। আর এখন শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানও তাদের সমর্থন দিয়েছে। একটি সূত্র এই বিষয়ে পিটিআইকে জানিয়েছে, “এখন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের বৈঠক আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। পিসিবি অবগত যে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান এশিয়া কাপের জন্য তাদের হাইব্রিড মডেলকে সমর্থন করছে না।”

সূত্রটি আরও যোগ করেছে যে শেঠি ইতিমধ্যেই তার ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। এবং তিনি আলোচনা করছিলেন যে পাকিস্তান যদি ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের একটি ম্যাচও আয়োজন করতে না পারে, তাহলে তাদের অবস্থান কী হবে।

Read More: IND vs AUS: ফাইনালের আগে হাতির দাঁত দেখাল অস্ট্রেলিয়া, ভারতের বিরুদ্ধে এই তুরুপের তাসকে করবে প্রয়োগ !!

শেঠি বহুবার বলেছেন যে যদি টুর্নামেন্টটি অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয় তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। পাকিস্তান তা বয়কট করবে। এই বিষয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) একটি সূত্র জানিয়েছে, “পাকিস্তানের কাছে মাত্র দুটি বিকল্প আছে। একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা বা নাম প্রত্যাহার করা। পাকিস্তান না খেললেও এটাকে এশিয়া কাপ বলা হবে। তবে পাকিস্তানের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে সম্প্রচারকারীরা অবশ্যই তাদের চুক্তি পুনর্বিবেচনা করবে।”

BCCI

শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও ভারত মনে করে এশিয়া কাপ দুটি ভিন্ন দেশে আয়োজন করা সম্ভব হবে না। এবং এটি একই দেশে হওয়া উচিত। এরই মধ্যে চলতি বছর এশিয়া কাপ নাও হতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। আর এর পরিবর্তে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের দলগুলির বিশ্বকাপের আগে ৫০ ওভারের একটি বহুদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলা উচিত।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *