পাকিস্তান ক্রিকেট দলের (Pakistan Cricket Team) সাম্প্রতিক সময়ের পারফর্ম্যান্স বর্তমানে চর্চার মধ্যে রয়েছে। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হেরে নিজের দেশের ভক্তদের কাছে সমালোচিত হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। অন্যতম মুখ বাবর আজম (Babar Azam) আর বর্তমানে খবরের শিরোনামে নেই। এইরকম প্রেক্ষাপটে দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়া পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। ভারতের পর এবার আফগানিস্তানের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে বিপাকে পড়ল পিসিবি (Pakistan Cricket Board)।
Read More: “ওকে ইচ্ছা করেই সুযোগ দিচ্ছে না…” রোহিতের ছায়ায় ঢাকা জয়সওয়ালের পাশে দাঁড়ালেন মদন লাল !!
আইসিসির কড়া পদক্ষেপ-

গত এক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার রাতে পাকতিকা প্রদেশে আকাশপথে হামলা চালায় পাক সেনা বাহিনী। এই বর্বরোচিত হামলায় মৃত্যু হয় তিন ক্রিকেটার সহ মোট আটজনের। নিহত ৩ ক্রিকেটার হলেন কবীর, শিবঘাতুল্লাহ এবং হারুন। এই ঘটনার পর আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (Afghanistan Cricket Board) শোক বার্তা প্রকাশ করে পাকিস্তানের হামলার নিন্দা করে।
এই সঙ্গে তারা স্পষ্ট করে দেয় যে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার কথা ছিল তা থেকে নাম তুলে নিচ্ছে তারা। ভারতের পর আফগানরা পাক ক্রিকেট দলের সঙ্গে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অংশগ্রহণ করবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে। এরপরেই আইসিসিও (ICC) এই দেশের ভূমিকা নিয়ে এবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। সূত্র অনুযায়ী সব ধরনের সম্পর্ক পিসিবির সঙ্গে ছিন্ন করতে পারে আইসিসি। এর ফলে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 WC) সালমান আলী আঘাদের (Salman Ali Agha) অংশগ্রহণ নাও করতে দেখা যেতে পারে।
এশিয়া কাপে বিতর্ক-

এই বছর এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) আগে থেকেই পাকিস্তান দলকে নিয়ে ভারত তাদের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। ফলে টুর্নামেন্ট এক সময় প্রায় বাতিল হয়ে যাওয়ার মুখে পৌঁছে গিয়েছিল। পরে মাঠে নামলেও সূর্যকুমার যাদবরা (Suryakumar Yadav) কোনোরকম সৌজন্য দেখায়নি তাদের। টসের সময় এবং ম্যাচ শেষে হ্যান্ডশেক না করায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আইসিসিকে অভিযোগ করেছিল। অন্যদিকে গ্রুপ পর্বে, সুপার চারে এবং ফাইনালে ৩ টি ম্যাচেই পাক বাহিনী ব্লু ব্রিগেডদের (India vs Pakistan Match) বিপক্ষে হারের সম্মুখীন হয়।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর শুভমান গিলরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে তারা পিসিবি এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) চেয়ারম্যান মহসিন নকভির (Mohsin Naqvi) থেকে কিছুতেই ট্রফি নেবে না। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর নকভি ট্রফি এবং মেডেল নিয়ে হোটেলে ফিরে যান। সেই ট্রফি নিয়ে এখনও টানাপোড়েন চলছে। এর সঙ্গেই পিসিবি প্রধানের ভূমিকা ক্রিকেট মহলে রীতিমতো সমালোচনার সম্মুখীন হয়।