PAK vs BAN: রাওয়ালপিণ্ডিতে ঘটলো অঘটন। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টেও সম্মান রক্ষা হলো না পাকিস্তানের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক লজ্জার মুখে পড়লো পাকিস্তান। দলের সেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে (Shaheen Shah Afridi) বাদ দিয়েই দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ, প্রথম ইনিংসের শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তান দল। আব্দুল্লা শফিক প্রথম ওভারে প্যাভিলিয়নে ফিরতেই দলের হাল ধরেন সাইম আয়ুব ও ক্যাপ্টেন শান মাসুদ। দুজনেই অর্ধশতাধিক রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানের হয়ে ভীত গড়েন। তবে, মেহেদী হাসান মিরাজের ডবল স্ট্রাইকে পাকিস্তানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় বাংলাদেশ।
Read More: “ওনার মাথার গোলমাল…” MS ধোনিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করতেই যোগরাজের ক্লাস নিলেন পুত্র যুবরাজ !
পাকিস্তানের মাটিতে গর্জে উঠলো বাংলাদেশ
প্রাক্তন ক্যাপ্টেন বাবর ৩১, রিজওয়ান ২৯ ও আঘা সলমনের ৫৪ রানের ইনিংসে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ১০ উইকেটের বিনিময়ে ২৭৪ রান বানাতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ৫টি মূল্যবান উইকেট তুলে নেন। তাছাড়া, তাসকিন ৩টি ও সাকিব-রানার জুটি একটি করে উইকেট তুলে নেন।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে আসা বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডার তাসের ঘরের মতন ভেঙে যায়। ২৬ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পাকিস্তানি পেসার খুররম শেহজাদের পেস আক্রমণের সামনে বাংলাদেশি ব্যাটিং আক্রমন ছারখার হয়ে যায়। তবে কঠিন সময়ে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুজনের মধ্যে ১৬৫ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে, যেখানে মিরাজ ৭৮ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অন্যদিকে বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন ১৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ২৬২ রানে পৌঁছে দেয় বাংলাদেশ দলকে। পাকিস্তানের খুররম ৬টি ও মির হামজা-আঘা সলমন ২টি করে উইকেট তুলে নেন। এরপর শুরু হয় পাকিস্তানের তৃতীয় ইনিংস, তৃতীয় ইনিংসের শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। এরপর চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতেই পাকিস্তান দলের ব্যাটিং হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার বোলিংয়ের সামনে ১৭২ রানেই শেষ হয়ে যায়।
পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে পরাস্ত করলো বাংলাদেশ
দলের হয়ে সর্বাধিক ৪৭ রান বানান আঘা সলমন এবং ৪৩ রান বানান উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৫ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ এবং ৪ উইকেট নেন নাহিদ রানা। বাংলাদেশের সামনে ম্যাচ জেতার জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে লক্ষ্য ছিল ১৮৫ রানের।
চতুর্থ দিন শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান তুলে ফেলেছে বাংলাদেশ। শেষ দিন বাংলাদেশের জয়ের জন্য আর প্রয়োজন ছিল ১৪৩ রানের। জাকির হাসান ৪০, সাদমান ইসলাম ২৪, ক্যাপ্টেন শান্ত ৩৮, মমিনুল ৩৪ এবং দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শাকিব ও মুশফিকুরের ৩২ রানের পার্টনারশিপে পাকিস্তানের বুকে জয় ছিনিয়ে নিলো বাংলাদেশ।