পাকিস্তান আর বিতর্ক যেন এখন সমর্থক হয়ে উঠেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) শেষ হয়ে গেলেও ভারতের সাফল্য মেনে নিতে পারছে না টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ। তাদের একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রতিদিন বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করছেন। এবার পাকিস্তানের এক টেলিভিশন সঞ্চালক পিসিবিকে (PCB) রীতিমতো কটাক্ষ করলেন। তিনি বলেন পাকিস্তানকে ভারত এই টুর্নামেন্টে শুধু দর্জি হিসাবে মনে রাখবে। এই মন্তব্য সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নতুন করে ট্রোলিংয়ের মুখে পড়েছে পাকিস্তান।
দর্জি হিসাবে মনে রাখা হবে পাকিস্তানকে-

এই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy 2025) আয়োজক দেশ পাকিস্তান হলেও টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ দুবাইতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারত একটিও ম্যাচ পাকিস্তানের মাটিতে খেলেনি। এমনকি ফাইনালে পিসিবির কোনো সদস্যকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ সামনে এসেছিল। এই বির্তকেও আইসিসি নিজেদের স্পষ্ট বক্তব্য জানিয়ে দেয়। এবার পাকিস্তানকে ভারত শুধু দর্জি হিসেবে মনে রাখবে বলে কটাক্ষ করলেন এক পাক সঞ্চালক। একটি টক শোতে আলোচনা চলাকালীন এক ব্যক্তি বলেন, “পিসিবি প্রধানের অবশ্যই দুবাইতে ফাইনালে থাকা উচিত ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (CT 2025) ভারত আমাদের বারবার অপদস্ত করতে চেয়েছে। ওরা পাকিস্তানে খেলতে আসেনি। এমনকি জার্সিতে পাকিস্তান লেখা নিয়েও বিতর্ক তৈরি করেছিল। তবে শেষে পাকিস্তানেরই জয় হয়েছে। ফাইনালে যে সাদা কোট পড়ানো হয়েছে তাতে পাকিস্তানের নাম খেলা আছে। এই লেখা আজীবন থেকে যাবে।” এরপরেই সঞ্চালক বলেন, “হ্যাঁ ভারত আমাদের মনে রাখবে কিন্তু শুধু দর্জি হিসেবে।”
ক্রিকেট মাঠেও ব্যর্থ পাকিস্তান-

আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে গিয়ে রীতিমতো পিসিবিকে হিমশিম খেতে হয়েছে। মাঠে নেমে পাকিস্তান ক্রিকেটাররাও সমর্থকদের হতাশ করেছেন। আয়োজক দেশ হয়েও তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy 2025) একটি ম্যাচেও জয় তুলে নিতে পারেনি। মহম্মদ রিজওয়ানরা (Mohammad Rizwan) প্রথমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ রানে এবং ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হারের সম্মুখীন হয়। ভারতের হয়ে ম্যাচে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) দুরন্ত অর্ধশতরান করেছিলেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের গ্ৰুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এর আগে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাবার আজমের (Babar Azam) দল শেষ আটেও প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে বিশ্ব ক্রিকেটে পাকিস্তানের পারফর্ম্যান্স ধীরে ধীরে তলানিতে পৌঁছে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।