NZ vs PAK: নিউজিল্যান্ড তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৩০ রানে আটকে দেয়। (ব্রেসওয়েল ২-১১, স্যান্টনার ২-২৭, সাউদি ২-৩১) জবাবে নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ১৩১ রান করে ম্যাচ জয় করে। (অ্যালেন ৬২, কনওয়ে ৪৯*,) ক্রাইস্টচার্চে পিচে, অফস্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েলের স্পিন আক্রমণের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজের টানা দ্বিতীয় জয় সেট করে। পাকিস্তান তাদের ইনিংসে একটি ছক্কাও মারতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের আধিপত্যের কারণে। এটি ছিল নিউজিল্যান্ডে ৭৭ ম্যাচে একটিও ছক্কা ছাড়াই প্রথম সম্পূর্ণ টি-টোয়েন্টি ইনিংস। ফিন অ্যালেন, যিনি আবারও মার্টিন গাপটিলের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন, একাই তার ৪২ বলে ৬২ রানের সময় ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়ে নিউজিল্যান্ড কে জয়ের স্বাদ উপভোগ করালো।
পাকিস্তানের শুরুটা ভালো কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না
প্রথম দুই ওভারে তিনটি চার মেরে পাকিস্তানকে দারুণ স্টার্ট দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। স্যান্টনার ফেরার পর নতুন বল নিয়েছিলেন কিন্তু তার প্রথম ওভারে অস্বাভাবিকভাবে তার লেন্থ এবং লাইন মিস করেন যার ফলে নিউজিল্যান্ডর ১১ রানে খরচ হয়। তারপর বোল্টের জায়গায় খেলতে পাওয়া ব্লেয়ার টিকনার যখন প্যাডের উপর বল করার চেষ্টা করেন, তখন বাবর আজম মিডউইকেটের উপর দিয়ে দৃঢ়ভাবে চাবুক শট মেরেছিলেন। অতঃপর পাকিস্তান তিন ওভারে ০ উইকেটে ২৪ রান করে। কিন্তু শুরুটা ভালো হলেও নিউজিল্যান্ড নিজের দারুণ বলের দরুন ম্যাচে ফিরে আসে এবং দুই ওপেনারকে আউট করে পাকিস্তান পেছন দিকে টেনে আনে। পাকিস্তানের অন্যান্য ব্যাটসম্যান ও খুব দারুণ একটা পারফরম্যান্স করতে পারে নি অবশেষে মাত্র ১৩০ রানের মাথায় আটকে দেয়।
Read More: সিরাজ না শামি, কে হবে জাসপ্রিত বুমরাহ’র জায়গায় সঠিক রিপ্লেসমেন্ট? সঞ্জয় মাঞ্জরেকার দিলেন ইঙ্গিত !!
মাঠে চললো শুধু নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের রাজত্ব
পাকিস্তানের শুরু ভালো হলেও স্পিনাররা আক্রমণে আসতেই ম্যাচ ঘুরলো নিউজিল্যান্ড তরফে। রিজওয়ানের কাছে ছয়টি ডট করার পর, ব্রেসওয়েল তাকে লং-অনের ওপর মারার চেষ্টায় জিমি নিশামের হাতে ১৭ বলে ১৬ রানে আউট হয়ে যান। ব্রেসওয়েল খানিকক্ষণ পরে চালাকির সহিত বল করে বাবর আজম কেও কনওয়ের হাতে ক্যাচ ধরিয়ে আউট করে । ব্রেসওয়েল বল খুব একটা স্পিন করে না এবং স্পিনও করেনি তবে ড্রিফ্ট এবং বাউন্স দিয়ে, তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে পাকিস্তান যেন ম্যাচে কখনই এগিয়ে যেতো না পারে । তিনিই একমাত্র বোলার যিনি একটিও বাউন্ডারি দেননি। পাওয়ারপ্লে-এর শেষে , স্যান্টনার তার গতি কমিয়ে দেন এবং শাদাব খান এবং শান মাসুদ কে ভুল হিট করিয়ে আউট করেন । শাদাবকে আবারও ৪ নম্বরে প্রমোট করা হয়েছিল কিন্তু এবার নিজের ছাপ ছাড়তে অক্ষম হয়। পরে পাকিস্তানের মিডল-অর্ডার ব্যাটাররা মাঠে নামে এবং কোন বাউন্ডারি ছাড়াই ৩৪ বল চলে। আসিফ আলি এবং ইফতিখার আহমেদ বাউন্ডারির খরার অবসান ঘটান এবং তিনটি করে চার মেরেছিলেন, কিন্তু তা পাকিস্তানকে প্রতিযোগিতামূলক মোটে টেনে আনার জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষ ওভারে পরপর বলে ইফতিখার ও মোহাম্মদ নওয়াজকে আউট করে টিম সাউদি ।
দুর্দান্ত খেলা দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড
অ্যালেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তার শিকড় তৈরি করেছেন। অ্যালেন ওপেনিং এ নিজের বিস্ফোরক শক্তি দেখাচ্ছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গাপটিলের জায়গায় নিউজিল্যান্ড কে আরও একটি বিকল্প দিচ্ছে নিজের রূপে । ত্রিদেশীয় সিরিজে এর আগের ম্যাচে মাত্র ১৩ এবং ১৬ স্কোর করে, তবে অ্যালেন এই ম্যাচে ৩১ বলে অর্ধশতক রান করে নিজের মূল্য প্রমাণ করেন। অ্যালেন ক্রিজের বাইরে গিয়ে বা পিছিয়ে গিয়ে রান করার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। পাকিস্তান তাকে তাড়াতাড়ি আউট করতে অক্ষম হয় এবং সপ্তম ওভার পর্যন্ত স্পিন আটকে রেখে নিউজিল্যান্ডের কাজ সহজ করে দিয়েছে। এবং অবশেষে শাদাব আক্রমণে এলে, অ্যালেন তাকে লেগ সাইডের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান। অপরদিকে ৪৬ বলে ৪৯ রানের একটি পরিপক্ক ইনিংস খেলে অ্যালনের সাথ দেয় কনওয়ে। ১৪তম ওভারে শাদাব অ্যালেনকে আউট করার সময়, নিউজিল্যান্ড জয় থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে ছিল। কনওয়ে এবং উইলিয়ামসন সেটি খুব সহজেই চেজ করে নেয় এবং যার ফলস্বরূপ বাংলাদেশকে ত্রিদেশীয় এই সিরিজে এখনও বেঁচে রয়েছে।