বাংলাদেশ মহিলা দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে বড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার জাহানারা আলম ক্যাপ্টেন জ্যোতির নামে অভিযোগ করেন যে তিনি নাকি দলের জুনিয়র খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেন। এমনকি বিশ্বকাপ চলাকালীন জুনিয়রদের মারধর পর্যন্ত করতেন নাকি জ্যোতি। দুবাই সফরে গিয়ে জুনিয়রদের ঘরে ডেকে শারীরিকভাবে আঘাত করতেন জ্যোতি এবং তাদের দিয়ে মাথা টেপানো, ব্যাগ বওয়ার মতন কাজ করাতেন জ্যোতি। জাহানারা আলমের এই মন্তব্যের পর তোলপাড় হয়ে ওঠে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার জাহানারা আলম এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন জ্যোতির নামে। অবশেষে মুখ খুললেন বাংলাদেশী মহিলা দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। মন্তব্য করে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি কেন কাউকে মারতে যাবো ? কেন কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে যাবো ? কেউ কিছু বললেই যে সেটা ঠিক হয়ে যাবে এমনটাতো নয়। দলের অন্য সদস্য দের জিজ্ঞাসা করে দেখুন – আমি কাউকে বা কারোর সাথে এমন আচরণ করেছি কিনা।” পাশাপাশি, ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্প ভাঙার যে অভিযোগ উঠেছিল তাঁর নাম সেই প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, “হয়তো রান্না বান্না করার সময় কিংবা অনুশীলনের ফাঁকে আমি হয়তো ব্যাট এদিক ওদিক করেছি, সেটা আমার নিজের বিষয়। কিন্তু সেটা অন্যকে মারার সঙ্গে কিভাবে যুক্ত হলো ?”
Read More; ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সব দ্বিপাক্ষিক সিরিজ !!
হারমানপ্রীতকে নিয়ে বড় বয়ান জ্যোতির

জ্যোতি আবার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের (Harmanpreet Kaur) নামে অভিযোগ করেন। তিনি মন্তব্য করে বলেন, “আমি কি হারমানপ্রীত কৌর নাকি যে ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে মারব?” উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ভারত বাংলাদেশ সফরে পৌঁছেছিল তখন আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে আউট হওয়ার পর হরমনপ্রীত উইকেটে ব্যাট দিয়ে আঘাত করেছিলেন এবং আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন। প্রসঙ্গত , আগামী মাসে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মহিলাদের সাদা বলের সিরিজ হওয়ার কথা ছিল। তবে এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রস্তুতি নিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে এবং এই সিরিজটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে ভারত ও বাংলাদেশের কুটনোটিক সম্পর্কের জেরেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় বারের জন্য কোনো সিরিজ ভেস্তে গেল।