টি-২০ ক্রিকেটে ক্যারিবিয়ান তারকাদের দাপট গোটা বিশ্বে সুবিদিত। ক্রিস গেইল, কিয়েরণ পোলার্ডদের সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছেন নিকোলাস পুরানের (Nicholas Pooran) মত পরবর্তী প্রজন্মের তারকারাও। ২০১৬ সালে প্রথমবার মেরুন জার্সিতে আন্তর্জাতিক টি-২০র আসরে পা রেখেছিলেন পুরান। দেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৯৮টি ম্যাচ খেলেছেন। রান সংখ্যা ২১৯৫। ১৩টি অর্ধশতক রয়েছে তাঁর। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ সেরার পুরষ্কার’ও জিতেছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দুনিয়াতেও সমাদৃত তিনি। গত বছরই এম আই নিউ ইয়র্কের (MINY) হয়ে অনবদ্য শতরান করে দল’কে মেজর লীগ ক্রিকেট ট্রফি জিতিয়েছিলেন। আইপিএলেও লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস LSG) শিবিরের অন্যতম ভরসা তিনি। ব্যাটিং দক্ষতার প্রমাণ আগে বহুবার দিয়েছেন তিনি। আজ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগেও দেখা গেলো পুরান ম্যাজিক।
Read More: IPL 2025: নিলামের আগেই স্পষ্ট দিল্লী ক্যাপিটালসের পরিকল্পনা, ঋষভ নয় বরং অক্ষর প্যাটেল পাচ্ছেন দলের দায়িত্ব !!
ঝড় তুললেন নিকোলাস পুরান-
আজ ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের (TKR) হয়ে নিকোলাস পুরান (Nicholas Pooran) আবারও বোঝালেন কেন বিশ্বের ভয়ঙ্করতম ব্যাটারদের একজন তিনি। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (CPL 2024) ম্যাচে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের (SKNP) বিরুদ্ধে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে একটা সময় বেশ চাপেই ছিলো তাঁর দল। কিন্তু এরপরই ঢাল হয়ে দাঁড়াতে দেখা গেলো তাঁকে। চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে মাঠে থাকা দর্শকদের মাতিয়ে দিলেন পুরান (Nicholas Pooran)। টি-২০ কেরিয়ারে এর আগেই ২টি শতরান রয়েছে পুরানের। আজ প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিলেন তৃতীয় শতকের মাইলস্টোন। কিন্তু ৯৭ রানে থামতে হলো তাঁকে। দুর্ভাগ্যের কারণে শতরান না পেলেও দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে যান তিনি। ৭টি চার ও ৯টি ছক্কায় সাজানো ইনিংস মন ছুঁয়েছে সমর্থকদের।
দেখুন পুরানের বিধ্বংসী ব্যাটিং-
Nicholas Pooran smashed 97 in just 43 balls with 7 fours and 9 sixes in the CPL.#CPL24 || #TheGOATpic.twitter.com/LnybMoyV13
— Mr Tajamul (@Tajamul1320) September 1, 2024
দাপুটে জয় পেলো নাইট রাইডার্স-
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (CPL 2024) আজ মরসুমের প্রথম ম্যাচ খেললো ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স (TKR)। জয় দিয়েই যাত্রা শুরু করলো তারা। সেন্ট কিটসের মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ ছিলো সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। টস জিতে প্রথমে নাইটদের ব্যাটিং-এর আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো প্যাট্রিয়টস’রা। ঝড় তোলেন সুনীল নারাইন (Sunil Narine)। আইপিএলের মত সিপিএলেও অনবদ্য ছন্দে তিনি। ১৯ বলে ৩৮ করে পাওয়ার প্লে’তে এগিয়ে দেন নাইটদের। তবে তাঁর সহ-ওপেনার জেসন রয় মাত্র ৯ বলে ৬ করে আউট হন। এরপর শাকির প্যারিস’ও ফিরে যান ৯ বলে ১৩ করে। এরপর পুরানের (Nicholas Pooran) সাথে জুটি বাঁধেন কেসি কার্টি (Keacy Carty)। দু’জনের ১২২ রানের পার্টনারশিপ সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছিলো নাইট রাইডার্স’কে।
পুরান ৯৭ ও কার্টি ৭৩* রান করেন। অধিনায়ক কিয়েরণ পোলার্ড (Kieron Pollard) অপরাজিত থাকেন ৬ বলে ৭ রান করে। ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ২৫০ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেশ বিপাকে পড়েছিলো সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। আইরিশ পেসার জশুয়া লিটল ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার ও কাইল মেয়ার্স’কে (Kyle Myers)। তবে ইভিন ল্যুইস, মিকাইল ল্যুইস ও ট্রিস্টান স্টাবস সামলে নেন খানিকটা। করেন যথাক্রমে ৩৯, ৫৬ ও ৩৯। এরপরে আবার ম্যাচে ফেরে নাইট’রা। শেরফেন রাদারফোর্ড, ওডিন স্মিথদের মত চেনা মুখেরা ছিলেন সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস দলে, কিন্তু সুবিধা করতে পারেন নি কেউই। শেষবেলায় রায়ান জন ১২ বলে অপরাজিত ২৫ করলেও লাভ হয় নি। ২০৬-এর বেশী এগোয় নি তারা। ৪৪ রানে জিতে অভিযান শুরু করলো শাহরুখ খানের দল।