ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh) খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। বিশ্বকাপ জয়ী তারকা মরণ রোগ ক্যানসারকে বদ করে বিশ্বকাপের ময়দানে সেরার খেতাব অর্জন করেছিলেন। ক্রিকেটের মাঠে তিনি খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, পাশাপশি তার তৈরি ‘ইউ উই ক্যান ফাউন্ডেশন’, যেটি মূলত ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই ও সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে। সেই সংস্থার একটি বিজ্ঞাপন সোশাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। এমনকি এই বিজ্ঞাপনের জন্য সমাজ মাধ্যমে ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে কিংবদন্তি তারকা ও তার সংস্থাকে।
সংস্থার বিজ্ঞাপনে শুরু হলো চর্চা
মরণ রোগ ক্যান্সারকে জয় করেছিলেন যুবরাজ (Yuvraj Singh)। আর সেই রোগ থেকে বাকিদের সতর্ক করতে বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যানসার সম্পর্কে মহিলাদের সতর্ক ও সচেতন করতে সম্প্রতি ‘ইউ উই ক্যান ফাউন্ডেশনের’ পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। সেই বিজ্ঞাপনেই মহিলাদের স্তকে ‘কমলালেবু’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। নেট নাগরিকদের মতে ব্রেস্টের সঙ্গে কমলালেবুর তুলনা ‘অসংবেদনশীল’ এবং ‘অস্বস্তিকর’।
সম্প্রতি স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দিল্লি মেট্রোতে প্রচার করে যুবরাজের এই সংগঠন। প্রচারের মূল বক্তব্যটি হলো, ‘নিজের কমলালেবু মাসে একবার পরীক্ষা করে দেখুন।’ এখানে কমলালেবুকে প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করে দুটি পোস্টার ব্যবহার করা হয়। তাতেই রুষ্ট সোশাল মিডিয়ার একাংশ। ব্রেস্টের সঙ্গে কমলালেবুর তুলনা কেন করা হয়েছে সেটাই এখন প্রশ্নের বিষয় হয়ে উঠেছে। যে কারণে যুবরাজ সিংকেও প্রশ্নের মুখে ফেলা হয়েছিল।
সোশাল মিডিয়ায় এক মহিলা বিষয়টির উল্লেখ করে লিখেছেন, “যদি আমরা স্তনকে স্পষ্টভাবে স্তন না বলতে পারি, তাহলে কীভাবে এই দেশে এই সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানো যাবে? দিল্লি মেট্রোতে এমন একটা প্রচার দেখলাম, এগুলো কি ধরণের প্রচার ? কারাই বা করে ? এর অনুমতিই বা দেয় কারা ? এই ধরনের পোস্টার যারা জনসম্মুখে আনার অনুমতি দেয় তারা কি নির্বোধ ?“
যুবরাজের সংস্থা দিলো যোগ্য জবাব
সমালোচনা বাড়তে দেখে মুখ খোলে ‘ইউ উই ক্যান ফাউন্ডেশন’। সংস্থার বক্তব্য, “আমরা জানি, ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে সরাসরি মানুষের সঙ্গে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করাটা কতটা কঠিন। এটা এমন একটা বিষয় যা বেশিরভাগ সকলেই এড়িয়ে চলেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁরা নিজেরা অথবা তাঁদের কোনও আপনজন এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন।” পাশাপশি সংস্থার আরও দাবি যে অনেক ভাবনা চিন্তা করেই তারা স্তনের বদলে ‘কমলালেবু’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এটিকে একটি সাহসী নির্বাচনের ও গভীর ভাবনার ফসলের তকমা লাগিয়েছেন।