ক্রিকেট বিশ্বে ভারতীয় দলের মধ্যে সবথেকে বেশি আগ্রাসন দেখাতে শুরু করেন সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly)। ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন প্রায়শই শিরোনামে থাকেন। দেশের বাইরে একাধিক চিরস্মরণীয় টেস্ট ম্যাচে সৌরভ গাঙ্গুলিকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে। পাশাপশি, ইংল্যান্ডে গিয়ে তার নেওয়া রিভেঞ্জ ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণক্ষরে লেখা রয়েছে। ২০২৩ সালেও খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর তাকে নিয়ে কন্ট্রোভার্সির শেষ নেই। এই বছরেই, বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সাথে হ্যান্ডশেক করেননি, সেই মুহূর্ত নিয়ে তোলপাড় হয় ক্রিকেট বিশ্ব। পাশাপাশি, এবার সৌরভকে নিয়ে বড় বয়ান দিলেন প্রাক্তন ইংলিশ ক্যাপ্টেন নাসির হোসেন (Nasir Hussain)। তিনি গাঙ্গুলিকে নিয়ে বেশ সমালোচনায় করলেন।
Read More: “ওরা আদেও খেলা…” দীর্ঘ ১০ বছর আইসিসির ট্রফি না জেতায় BCCI’এর উপর চোটলেন ভেঙ্গসরকার, করলেন এই মন্তব্য !!
গাঙ্গুলিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন হোসেন
দুজনেই তাদের দলের হয়ে একসময় নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির কথা স্মরণ করা যায়। দুজনের মধ্যে কার ইতিহাস অনস্বীকার্য, মাঠে তারা দুজন প্রতিদ্বন্দী এবং প্রতিপক্ষ ছিলেন। গাঙ্গুলীর (Sourav Ganguly) প্রতি হোসেন একবার তার অপছন্দ প্রকাশ করেছিলেন, আসলে গাঙ্গুলি তাকে টসের জন্য প্রায়শই অপেক্ষা করতে বাধ্য করেছিলেন। টসে দেরি করে আসার বদ অভ্যাস ছিল সৌরভের। ২০০১ সালে স্টিভ ওয়াহের (Steve Waugh) পর ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসির হোসেন অভিযোগ করেছেন যে সৌরভ তাকে টসের জন্য অপেক্ষা করাতেন। এবিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, “সৌরভকে আমি ঘৃণা করতাম, যখন আমি ভারতের বিপক্ষে খেলতাম, তখন আমাকে প্রতিবার টসের জন্য অপেক্ষা করাতো, যেটা কোনোদিন আমার পছন্দ হয়নি।“
লর্ডসের মাঠে উড়িয়েছিলেন জামা
এরপর অবশ্য সৌরভের (Sourav Ganguly) প্রশংসা করেছেন হোসেন। মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এখন তার সাথে একজন ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করার পর আমি বুঝতে পেরেছি তিনি একজন ভালো মানুষ। যাইহোক, তিনি এখনও ধারাভাষ্য দিতে দেরি করেন, তবে তিনি একজন সুন্দর লোক।” আসলে নাসিরের সাথে ২০০১ সালেই সংঘাত হয় সৌরভের। কারণ ২০০১ সালের সিরিজে ‘নেতিবাচক’ লাইনে বল করার জন্য অ্যাশলে গাইলসকে ব্যাবহার করেন নাসির সচিনের (Sachin Tendulkar) বিরুদ্ধে। তবে, এটি পছন্দ করেননি গাঙ্গুলি। যেখান থেকে তৈরি হয় বিবাদ, আরেকটি স্মরণীয় ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয় করেছিল ভারত, সেখানে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (Andrew Flintoff) এবং হোসেনের কটূক্তির জবাব দিয়েছিলেন সৌরভ এবং লর্ডসের বারান্দায় তার শার্ট খুলে ওড়ানোর মুহূর্ত চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।