সদ্য সমাপ্ত হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নিলাম (IPL 2026 Auction)। বহু প্রতীক্ষিত এই নিলামের মঞ্চে কিস্তিমাত করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। নিলামের মঞ্চে সব থেকে বেশি অংক নিয়েই বসেছিল শাহরুখ খানের এই ফ্রাঞ্চাইজি। পাশাপাশি এবারের নিলামে দামি দুই ক্রিকেটারকেই দলে শামিল করেছে নাইট রাইডার্স শিবির। অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে (Cameron Green) ২৫.২০ কোটির রেকর্ড মূল্যে দলে সামিল করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাছাড়া ১৮ কোটিতে শ্রীলংকার মাথিসা পথিরানাকে দলে নিয়েছে কলকাতা। এই দুই খেলোয়াড়কে নিয়ে রীতিমতন চর্চা শুরু হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। দুজনে আগে আইপিএলের মঞ্চে বেশ কয়েকটি দুরন্ত পারফরম্যান্সও দেখিয়েছেন। তবে শুধু ক্যামেরুন গ্রীন বা পথিরানাকে নয়, ৯.২০ কোটিতে বাংলাদেশের তারকা সুপারস্টার মুস্তাফিজুর রহমানকেও (Mustafizur Rahman) দলে সামিল করেছে নাইট রাইডার্স দল। বিশেষ করে দলের ডেথ ওভারের সমস্যা এড়াতে বাংলাদেশি তারকাকে দলে শামিল করেছে নাইট রাইডার্স দল।
মুস্তাফিজকে নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা

তবে মুস্তাফিজুরকে দলে নেওয়ার পর থেকেই যেন চিন্তা বেড়ে গিয়েছে নাইট শিবিরে। প্রথমত মুস্তাফিজুর পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন না। তাকে আট দিনের জন্য বাংলাদেশে ফিরতে হবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাদা বলে সিরিজ খেলার জন্য। তাকে বাকি দিনগুলির জন্য এনওসি দিলেও এই সিরিজে কোন ছাড়পত্র দেয় নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে আবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বড় প্রশ্ন তুলেছে মুস্তাফিজুরের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণ নিয়ে। সম্প্রতি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি আবার বিগড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় অবস্থিত ভারতের ভিসা আবেদন কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপলিকেশন সেন্টার (IVAC) থেকে এতদিন সব ধরনের ভিসা-সংক্রান্ত কাজ পরিচালিত হতো। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রটি সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে বলেই জানা গিয়েছে।
Read More: ‘মেসি’কান্ডের নেপথ্যে চিটিংবাজি সৌরভের, অভিযোগ উঠতেই ৫০ কোটির মানহানির মামলা !!
ভিসা সমস্যায় ভুগতে পারেন ফিজ

বিশেষ করে গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অস্থিরতা বেড়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি সরকারের পক্ষ থেকে ভারতবিরোধী বক্তব্য, ঘৃণামূলক প্রচার, মৌলবাদী উসকানি এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিসরে বাড়তে দেখা গেছে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনকেও লক্ষ্য করে উস্কানিমূলক মন্তব্য করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর ভিসা তৈরির কাজ বন্ধ হলে সমস্যায় পড়বেন মুস্তাফিজুর রহমান। ভিসা সংক্রান্ত সমস্যায় পড়লে ভারতে আশা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। তিনি যদি ভারতেই না আসতে পারেন তাহলে সমস্যায় পড়বে ফ্রাঞ্চাইজি।