আগামী মার্চ মাসের ২৩ তারিখ থেকে শুরু হওয়ার কথা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (IPL) সপ্তদশ মরসুম। ইতিমধ্যেই দল সাজিয়ে নিয়েছে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি। অপেক্ষা ব্যাট-বলের যুদ্ধ শুরুর। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) গত মরসুমে হাড্ডাহাড্ডি ফাইনালে গুজরাত টাইটান্সকে (GT) হারিয়ে জিতে নিয়েছিলো সেরার শিরোপা। এবারও নজর থাকবে তাদের দিকে। পাঁচ ট্রফি জিতে আপাতত টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সফলতম দলের তকমা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (MI) সাথে ভাগ করে নিতে হচ্ছে চেন্নাইকে। ২০২৪-এর আইপিএল জিতে ষষ্ঠ খেতাব নিজেদের নামে করতে চাইবে তারা। শোনা যাচ্ছে সতেরো বছরের আইপিএল কেরিয়ারে এবার ইতি টানতে পারেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)। প্রিয় ‘থালা’র বিদায়টাও ট্রফির আলোয় আলোকিত দেখতে চান সমর্থকেরা।
গত ১৯ ডিসেম্বরের মিনি নিলামে আসন্ন আইপিএল (IPL) মরসুমের জন্য ঘর গুছিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। তারা ১৪ কোটি টাকা খরচ করেছে নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেলের (Daryl Mitchell) জন্য। দেড় কোটিতে চেন্নাই দলে সামিল করেছে রচিন রবীন্দ্রকে (Rachin Ravindra)। সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিভা বলা হচ্ছে তাঁকে। বাম হাতি ব্যাটিং-এর পাশাপাশি বাম হাতি অফস্পিনেও সিদ্ধহস্ত তিনি। ভারতীয় তরুণ সমীর রিজভির উপর ৮.৪ কোটির বাজি লাগিয়েছে চেন্নাই। পাশাপাশি ২ কোটি টাকার বিনিময়ে সিএসকে জার্সি গায়ে চাপাতে চলেছেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান’ও (Mustafizur Rahman)। চিপকের মন্থর উইকেটে তাঁর কাটারগুলি ঘাতক হতে পারে বলে অনুমান ক্রিকেটবিশ্বের। তবে, মরসুম শুরু হতে যখন ঠিক বাকি আর মাত্র এক মাস, তখন মুস্তাফিজুরের চোট আশঙ্কা বাড়াচ্ছে চেন্নাই সমর্থকদের।
Read More: IND vs ENG: রাজকোটের ইংল্যান্ডকে ষাঁড়াষাঁড়ি আক্রমণ টিম ইন্ডিয়ার, জয়ের জন্য দিল ৫৫৭ রানের টার্গেট !!
বলের আঘাতে আহত মুস্তাফিজুর, গেলেন হাসপাতালে-

আইপিএলের আসরে পা রাখার আগে নিজের দেশে বিপিএল (BPL) খেলতে ব্যস্ত মুস্তাফিজুর রহমান (Mustafizur Rahman)। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলছেন তিনি। ৯ ম্যাচে ৭টি জয় ও ২টি হার সহ আপাতত লীগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুমিল্লা। ৯ ম্যাচে ৯ উইকেট জমা পড়েছে মুস্তাফিজুরের ঝুলিতে। আগামীকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ রয়েছে কুমিল্লার। তার আগে চলছিলো প্র্যাক্টিস সেশন। সেখানেই ঘটে যায় বিপত্তি। নেটে বোলিং অনুশীলন চালাচ্ছিলেন মুস্তাফিজুর (Mustafizur Rahman)। ডেলিভারি করার পর ফিরছিলেন বোলিং মার্কে। সতীর্থ লিটন দাসের মারা একটি শট সরাসরি এসে আঘাত করে মুস্তাফিজুরের মাথায়। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে উঠে দাঁড়ালে দেখা যায় মাথায় ক্ষত তৈরি হয়েছে বাম হাতি পেসারের। রক্তপাত’ও হয় মুস্তাফিজুরের।
মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় তাঁর। তারপর অ্যাম্বুলেন্সে করে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (BCB) তরফে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে, “অনুশীলন চলাকালীন একটি বল সরাসরি মুস্তাফিজুর রহমানের মাথার বাম দিকে আঘাত করে। সেখানে ক্ষত তৈরি হয়েছিলো। তৎক্ষনাৎ ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করা হয় এবং দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।” সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে যে সিটি স্ক্যান করা হয়েছে মুস্তাফিজুরের। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে আঘাত গুরুতর নয় ২৮ বর্ষীয় বাম হাতি পেসারের। তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। তবে কবে তিনি মাঠে ফিরতে পারবেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্য এখনও মেলে নি। যেহেতু মাথায় আঘাত পেয়েছেন মুস্তাফিজুর, সেহেতু দিনকয়েক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হতে পারে তাঁকে।