ভারত-পাকিস্তান (IND vs PAK) ম্যাচের উত্তেজনা মাঠের বাইরেও ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। গতকাল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির (CT 2025) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও একই রকম ছবি ধরা পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তরা একে অপরের দিকে নানারকম মন্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন। এবার এর মধ্যেই হাইভোল্টেজ ভারত-পাক ম্যাচ শেষে গতকাল গুলি চালনার ঘটনা ঘটলো বিহারের ভাগলপুরে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় মারা গেলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) সতীর্থ। মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক ধোঁয়াশা।
IND vs PAK ম্যাচ শেষে চললো গুলি-

গতকাল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (CT 2025) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দুরন্ত জয় তুলে নিয়েছে ‘মেন ইন ব্লু’-রা (IND vs PAK। ম্যাচে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ব্যাট হাতে কামব্যাক করে অপরাজিত শতরান করে দলকে সাহায্য করেন। ফলে রবিবার ম্যাচ শেষে ভক্তদের আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায়। ভারত জয়ের এই উদযাপনের মধ্যেই খুন হয়ে গেলেন ধোনির (MS Dhoni) এক সময়ের সতীর্থ ক্রিকেটার প্রভু নারায়ণ মন্ডল। মৃত নারায়ণ মন্ডলের এক দাদা সত্যম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে গতকাল ম্যাচ শেষে তিনি ভাইয়ের সঙ্গে কোয়ার্টারে বসে গল্প করছিলেন। সেই সময় সঞ্জীব ঝা নামক এক যুবক এসে একের পর এক গুলি করতে থাকেন। সত্যম বুকে গুলিবিদ্ধ ভাইকে নিয়ে তৎক্ষণাৎ হাসপাতলে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কে এই MS Dhoni-এর সতীর্থ?

৪০ বছর বয়সী প্রভু নারায়ণ মন্ডল বিহারের টিএনবি কলেজের হেড ক্লার্ক ছিলেন। অবিবাহিত এই ব্যক্তি কলেজের কোয়ার্টারেই থাকতেন। তিনি ছিলেন চার ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো। সূত্র অনুযায়ী নারায়ণ মন্ডল এক সময় ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার ধোনির সঙ্গে জেলার স্তরের ক্রিকেটে খেলেছেন। সদ্ভাবনা কাপেও তারা এক সঙ্গে খেলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
ভাগলপুরের হত্যাকাণ্ডে শুরু হয়েছে তদন্ত-
গুলি চালানোর ঘটনার পরে শহরের ডিএসপি অজয় চৌধুরী হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র অনুযায়ী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সঞ্জীব ঝা থাকতেন সরকারি কলেজ কোয়ার্টারের পিছনে। ঘটনার পর অভিযুক্ত পলাতক থাকলেও তার বাবা শম্ভু নাথ ঝাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে আর্থিক সংক্রান্ত কোনো বিবাদ থাকতে পারে। ডিএসপি চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সব রকম ভাবে তদন্ত চালাচ্ছি। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”