ক্রিকেট হলো অনিশ্চয়তার খেলা। খেলার মাঠের উত্তেজনা ও ভক্তদের সমর্থনে খেলোয়াড়দের নতুন করে বেড়ে উঠতে বেশ সাহায্য করে থাকে। এক মুহূর্তে অসম্ভব দেখানো কোনো জিনিস নিমেষের মধ্যে সম্ভব করে তা ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেয়। ওডিআই ক্রিকেটে দ্বিশতরান হাঁকানো এক সময়ে খুবই কঠিন বলে মনে হলেও শচীন টেন্ডুলকার প্রথম তা করে দেখিয়ে নমুনা সৃষ্টি করেছিলেন। তারপর একাধিক ক্রিকেটার সেই পর্যায়ে পৌঁছিয়েছে এবং ডবল সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন। শুধু ওডিআই ফরম্যাটে নয়, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশকিল একটা কাজ। তবে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে তাক লাগিয়ে দিলেন ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) এক বন্ধু। ২০ ওভারে সেঞ্চুরি হাঁকানো সহজ কাজ নয়, তবে এই কীর্তিই একবার ঘটিয়েছিলেন এক ভারতীয় ক্রিকেটার – মোহিত আহলাওয়াত।
দুরন্ত ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকান পন্থের বন্ধু

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেই ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তারকা এই খেলোয়াড়। ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির এক স্থানীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে মাভি একাদশের হয়ে খেলতে নেমে ফ্রেন্ডস একাদশের বিপক্ষে ৭২ বলে অবিশ্বাস্য ৩০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মোহিত। তিনি তাঁর ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৩৯টি ছক্কা ও ১৪টি চার। তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবে প্রতিপক্ষ বোলাররা কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। আহলাওয়াতের ইনিংসের উপর ভর করে মাভি একাদশ ২০ ওভারে তুলেছিল ৪১৬ রান, যেখানে প্রতিপক্ষ দল বানিয়েছিল ২০০ রান এবং মাভি একাদশ ২১৬ রানে ম্যাচটি জয়লাভ করেছিল। মাত্র ২১ বছর বয়সী মোহিত আহলাওয়াত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি করে তৈরি করেন অনন্য ইতিহাস।
Read More: মিনি নিলামে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে প্রস্তুত KKR, একাধিক তারকাকে ছেড়ে দিচ্ছে নাইট বাহিনী !!
ইতিহাস গড়ে খবরের শিরোনামে তারকা খেলোয়াড়

বাউন্ডারির মাধ্যমেই তিনি মোট ২৯০ রান হাঁকিয়েছিলেন মোহিত। ছক্কার মাধ্যমে মোহিত ২৩৪ রান এবং চারের মাধ্যমে ৫৬ রান তুলেছিলেন তিনি। তাঁর এই ইনিংসের পর সমাজ মাধ্যমে নিমেষেই তাঁর ইনিংসটি নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল। মোহিত দিল্লি দলের হয়েও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এমনকি, ঋষভ পন্থের (RishabhPant) মতন তারকার আগেই ঘরোয়া দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে, তিনি এখন খেলার আলোচনা থেকে বাইরে গিয়েছেন। মোহিত ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লি ও সার্ভিসেস দলের হয়ে খেলেছেন। প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি ১৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন যেখানে ৩টি হাফ সেঞ্চুরি সহ ৩৮৬ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। এবছর জানুয়ারি মাসে নাগাদ ওড়িশার বিরুদ্ধে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তাঁর এই বিরল কীর্তি এখনও এক বিশ্ব রেকর্ড হয়ে রয়েছে।