বছরের শুরুতেই ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন্স ত্রদির খেতাব জয়লাভ করেছিল। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ভারতীয় দলের প্রদর্শন ছিল অসাধারণ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আইপিএল শুরু হয়েছিল আর আইপিএল এর মাঝ পথেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারকা খেলোয়াড় রোহিত শর্মা। সেই সময় অবশ্য ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে তিনি নির্বাচিত ছিলেন। তার এই হটকারী সিদ্ধান্ত প্রথম দিকে মানতেই পারছিল না ভক্তরা। তবে, এখন শোনা যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ওডিআই ফরম্যাটের জন্যও নতুন অধিনায়ক খুঁজছে। এবার প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যান মহম্মদ কাইফ (Mohammed Kaif) ভারতীয় দলের নতুন ওডিআই অধিনায়ককে বেছে নিয়েছে।
ইংল্যান্ডে নিজেকে প্রমাণ করেছেন শুভমান গিল

ইংল্যান্ডে দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের পর শুভমান গিল (Shubman Gill) ভারতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব নিতে প্রস্তুত বলে মনে করেন মোহাম্মদ কাইফ। অধিনায়ক হিসেবে তার প্রথম টেস্ট সিরিজে ভারতকে ২-২ ব্যবধানে ড্র করার পাশাপাশি পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবেও শেষ করেছেন গিল। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের টেস্ট ফরম্যাটে অবসরের পর শুভমান গিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক তরুণ দল নিয়েই সিরিজ ড্র করতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। কাইফ অবশ্য গিলের নেতৃত্বের গুণাবলীর প্রশংসা করেছেন এবং তাকে একজন শান্ত অধিনায়ক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
Read More: দলে ফিরছেন অক্ষর-শ্রেয়স, ‘আহত’ পন্থের বদলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সহ-অধিনায়ক KL রাহুল !!
তিনি রোহিত শর্মার স্থলাভিষিক্ত হয়ে শীঘ্রই তাকে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগের জন্য সমর্থনও জানিয়েছেন। কাইফ বলেছেন, “গিলকে খুব শান্ত দেখিয়েছে। চাপের মুখে তিনি ধৈর্য দেখিয়েছিলেন। চাপের মুখেও গিল ধৈর্য দেখিয়েছেন। রোহিত শর্মা আর কতদিন খেলবেন তার ঠিক নেই। আমার মতে গিল দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। তিনি সাদা বলে বড় বড় রান করেন। টেস্টে ক্যাপ্টেন হিসাবে তিনি ভালো খেলেছেন এবং দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। যখন আপনি একটি তরুণ দলের সাথে যান, তখন আপনাকে দুটি জিনিসই করতে হবে – ব্যাট হাতে স্কোর করা এবং অধিনায়ক হিসেবে ভালো করা। সামগ্রিকভাবে তার জন্য একটি দুর্দান্ত সফর ছিল।“
রোহিত শর্মার বদলে ক্যাপ্টেন হবেন গিল

মন্তব্য করে কাইফ আরও বলেছেন, “অধিনায়ক হিসেবে শুভমান গিল এই সিরিজে দুই হাতেই সুযোগ তৈরি করেছিলেন। যখন তাকে অধিনায়ক করা হয়েছিল তখন তাঁর টেস্ট রেকর্ড দেখে তাকে সমালোচনা করা হয়েছিল। এবার একটা তরুণ দল ইংল্যান্ডে গিয়েছে। অনেক চাপের মধ্যে ইংল্যান্ডে পৌঁছেছিলেন। তবে তিনি তার ব্যাট দিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন এবং এটি এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছিল যেখানে তাকে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের রেকর্ড ভাঙার সাথে তুলনা করা হয়েছিল।” ইংল্যান্ডে, গিল দশ ইনিংসে ৭৫.৪ গড়ে ৭৫৪ রান করেন, যার মধ্যে চারটি সেঞ্চুরি ছিল।