পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার মহম্মদ হাফিজ প্রাক্তন জোরে বোলার শোয়েব আকতারের ইউটিউব চ্যানেলে তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন যে তিনি মজবুরিতে ম্যাচ ফিক্সিং করা খেলোয়াড়দের সঙ্গে দলে যুক্ত থেকেছে। হাফিজ বলেন যে তিনি দলে থেকে সেই সমস্ত খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে চাইতেন যারা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো ভুল কাজে শামিল ছিলেন। কিন্তু তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছায় তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেননি।
হাফিজ বলেন—
“ওই খেলোয়াড়রা আমার ভাইদের মত কারণ আমি ওদের জন্য প্রার্থনাও করতাম কিন্তু ওরা যা করেছেন আমি তার বিরুদ্ধে ছিলাম। আমি আওয়াজ তুলি, কিন্তু আমাকে বলা হয় যে ওরা পাকিস্তানের হয়ে খেলবেন আর তোমাকেও খেলতে হবে তো সিদ্ধান্ত নাও কি করবে? আমি যখন এমন জবাব পাই তো আমি দারুণ ধাক্কা খেয়েছিলাম আর আমি শক পেয়েছিলাম। আমি বাড়ীতে যাই আর আমি পরামর্শ নি কারণ আমি পাকিস্তানের হয়ে নিজের পজিটিভ এনার্জি নষ্ট করতে চাইনি। ওরা ভুল ছিল তারপরও আমি ওদের সঙ্গে খেলতে থাকি”।
পাকিস্তানের শীর্ষ অলরাউন্ডারদের মধ্যে শামিল মহম্মদ হাফিজ আগে বলেন—
“ আমি এখনো বলব যে এটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল আর এটা পাকিস্তানের জন্য কখনো সঠিক হবে না। এই ধরণের খেলোয়াড়দের ফেরত আনা পাকিস্তানের জন্য ভালো হবে না” তিনি আগে বলেন যে তিনি নিজের কেরিয়ার চলাকালীন বেশকিছু মানষের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন, কিন্তু যখন তিনি সামনে বিপদ দেখেন তো তিনি নিজেকে সামলে নিয়ে সেখান থেকে দূরত্ব তৈরি করে নেন। হাফিজ জানিয়েছেন যে পাকিস্তানের ক্রিকেট এমনিতেও যথেষ্ট সম্মান পায় কিন্তু তাও বেশকিছু ভুল কাজে যুক্ত হওয়া এটা সত্যিই যথেষ্ট লজ্জাজনক।
২০১০ এ হয়েছিল স্পট ফিক্সিং
আগস্ত ২০১০ পাকিস্তানী দলের ইংল্যান্ড সফরের সময় স্পট ফিক্সিং বিতর্ক সামনে এসেছিল। যেখানে তিন পাকিস্তানী খেলোয়াড় সলমন বাট, মহম্মদ আসিফ আর মহম্মদ আমিরকে যুক্ত পাওয়া গিয়েছিল। সেপ্টেম্বর ২০১০ এ প্রথমবার ব্যানের পর আইসিসি অ্যান্টি করাপশন ট্রাইবুনাল ২০১১য় তিন খেলোয়াড়দের কম সে কম পাঁচ বছরের জন্য ব্যান করে দিয়েছিল।