CT 2025: আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025)। টুর্নামেন্টের গ্রুপ-বি’তে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তারা অভিযান শুরু করছে ২২ তারিখ। লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে ক্যাঙারুবাহিনীর প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। এরপর যথাক্রমে ২৫ ও ২৮ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবেন স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্করা। ২০২৩ সালে উপমহাদেশ থেকে বিশ্বকাপ (ICC World Cup) জিতে দেশে ফিরেছিলো অজি শিবির। ভারতের মাটিতে ভারতকেই ফাইনালে হারিয়েছিলো তারা। এবার পাকিস্তানেও কি সুপ্রসন্ন হবে ভাগ্য? সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। দুই বারের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে প্রত্যাশা আকাশছোঁয়া হলেও বাস্তব চিত্রটা বিশেষ সুখকর নয় তাদের জন্য। যত দিন যাচ্ছে দীর্ঘ হচ্ছে চোট-আঘাতের তালিকা। প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউড আদৌ মাঠে নামতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছেই। এবার আহত হয়ে ছিটকে গেলেন মিচেল মার্শ’ও।
Read More: “সময় থাকতে সরে যাও…” ‘ক্লিন বোল্ড’ কোহলি, রঞ্জি প্রত্যাবর্তনে ব্যর্থ হতেই জুটলো নেটদুনিয়ার কটাক্ষ !!
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নেই মিচেল মার্শ-
ক্রিকেট কেরিয়ারে বারবারই চোট-আঘাত ভুগিয়েছে মিচেল মার্শকে (Mitchell Marsh)। সেই দীর্ঘ অধ্যায়ে সাম্প্রতিকতম সংযোজন কোমরের সমস্যা। ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ চলাকালীনই টিম ম্যানেজমেন্টকে অস্বস্তির বিষয়টি জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার। মার্শের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি মাথায় রেখে যথেষ্ট কম বোলিং করানো হয়েছে তাঁকে। তবুও এড়ানো যায় নি সমস্যায়। মেলবোর্নে চতুর্থ ম্যাচটির পর সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন তিনি। সিডনিতে তাঁর বদলি হিসেবে অভিষেক হয় বো ওয়েবস্টারের। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির পর বিগ ব্যাশ লীগে কেবলমাত্র একটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন মার্শ। তারপরেই নাম লেখাতে হয় রিহ্যাবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকেও ছিটকে যান তিনি। দুঃসংবাদের বোঝা বাড়লো তাঁর জন্য। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও (CT 2025) খেলতে পারবেন না মার্শ।
“রিহ্যাবে সম্পূর্ণ সাড়া না দেওয়ায় জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলী ও অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ দলের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে মিচেল মার্শের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না। ওর কোমরের সমস্যা সম্প্রতি বেড়েছে যার ফলে এনএসপি (ন্যাশনাল সিলেকশন প্যানেল)-এর কাছে ওকে বাদ দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না। এখন মার্শ’কে বেশ কিছু দিন বিশ্রামে থাকতে হবে,” একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। তিনি কবে মাঠে ফিরতে পারবেন সেই বিষয়েও কোনো নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয় নি। পিঠের স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের কারণে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন ক্যামেরন গ্রিন (Cameron Green)। মার্শ’ও বাদ পড়ায় বড়সড় শূন্যতা তৈরি হলো অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডে। দিনকয়েকের মধ্যেই বিকল্প ঘোষণা করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ডাক পেতে পারেন ওয়েবস্টার বা শন অ্যাবট।
চোট-আঘাত সমস্যায় অস্ট্রেলিয়া-
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (CT 2025) আগে অজি শিবির যেন মিনি হাসপাতাল। অধিনায়ক কামিন্সকে (Pat Cummins) ভোগাচ্ছে গোড়ালির পুরনো চোট। শ্রীলঙ্কা সফরে আসেন নি তিনি। দিনকয়েকের মধ্যেই স্ক্যান করা হতে পারে তাঁর। তখনই জানা যাবে আদৌ পাকিস্তানের মাটিতে মেগা টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন কিনা তিনি। সমস্যায় রয়েছেন জশ হ্যাজেলউড’ও (Josh Hazlewood)। অস্ট্রেলিয়ার পেস বিভাগের অন্যতম অস্ত্রকে ভোগাচ্ছে সাইড স্ট্রেন। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের মাঝপথেই ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। মাঠে ফেরেন নি এখনও। ১৯ ফেব্রুয়ারির আগে তিনিও ফিট হবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি চলাকালীন পিঠের পেশীতে টান ধরেছিলো মিচেল স্টার্কের, এছাড়া বিগ ব্যাশ খেলার সময় কনুইতে চোট পেয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। স্বস্তির খবর যে চোট গুরুতর নয় তাঁদের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গলে মাঠে নেমেছেন দুজনেই।