ক্যান্সার

স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক (Michael Clarke)। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে নিজেই জানিয়েছেন শারীরিক অসুস্থতার কথা। নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করান, অনুরাগীদের কাছে আবেদন রেখেছেন তিনি। হাসপাতালের বিছানা থেকেই নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। নাকে অস্ত্রোপচারের চিহ্ন স্পষ্ট সেই ছবিতে। ক্যাপশনে ক্লার্ক (Michael Clarke) লিখেছেন, “স্কিন ক্যান্সার সত্যি। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়াতে। আমার নাক থেকে আরও একটুখানি কেটে বাদ দেওয়া হয়। নিরাময়ের থেকে সতর্কতাই সুবিধাজনক কিন্তু আমার জন্য নিয়মিত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকা এবং শুরুতেই ধরা পড়াটাই আসল।” ক্যান্সার বেশীদূর ছড়িয়ে পড়ার আগেই ধরা পড়ায় কৃতজ্ঞ ক্লার্ক। তাঁর চিকিৎসক ও অস্ট্রেলীয় স্কিন ক্যান্সার ফাউন্ডেশনকে ট্যাগ করে ধন্যবাদজ্ঞাপনও করেছেন অজিং কিংবদন্তি।

Read More: ভারত-পাকিস্তান নয় এই দলের হাতেই উঠবে এশিয়া কাপের ট্রফি, তাকিয়ে দেখবে সূর্যকুমার-গিলরা !!

দেখে নিন ক্লার্কের সেই পোস্ট-

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় নিঃসন্দেহে থাকবেন মাইকেল ক্লার্ক (Michael Clarke)। ১১৫ টেস্টে ৪৯.৫০ গড়ে ৮৬৪৩ রান করেছেন তিনি। শতরানের সংখ্যা ২৮, অর্ধশতক ২৭টি। কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট শতরান করার ঠিক আগে হেলমেট খুলে ব্যাগি গ্রিন টুপি আনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে ৭৪টেস্টে দলের দায়িত্ব সামলেছেন ক্লার্ক। তাঁর হাত ধরে ২০১৩-১৪ মরসুমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে ৫-০ ফলে গুঁড়িয়ে অ্যাসেজ পুনরুদ্ধার করেছিলো অজি বাহিনী। ওয়ান ডে’তেও দুর্দান্ত পরিসংখ্যান ক্লার্কের। ২৪৫ ম্যাচে ৪৪.৫৮ গড়ে করেছেন ৭৯৮১ রান। শতক ৮টি, অর্ধশতক ৫৮টি। ১৩৯ টি ম্যাচে দেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। তাঁর অধিনায়কত্বে ২০১৫ সালে বিশ্বকাপও জেতে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া ২০০৭-এর বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি।

ক্লার্কের (Michael Clarke) অসুস্থতার পর ক্যান্সার নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ক্রিকেটজনতার মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে অস্বাভাবিক স্কিন সেলের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে স্কিন ক্যান্সার। সূর্য বা ট্যানিং বেডের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ছড়াতে পারে এই রোগ। নিরক্ষরেখার খুব কাছেই অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার। ভৌগলিক কারণেই এখানে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সান্নিধ্যে আসার সম্ভাবনা অনেক বেশী। এছাড়া অধিকাংশ জনগণ শ্বেতাঙ্গ। তাই বাকি বিশ্বের তুলনায় অস্ট্রেলিয়াতে ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। পরিসংখ্যান বলছে ৩ জনের মধ্যে ২ জন অস্ট্রেলীয় ৭০ বছর বয়স হওয়ার আগেই কোনো না কোনো ধরণের ত্বকের ক্যান্সারের শিকার হন। রয়েছে তবে রয়েছে আশার আলোও। রোগ লিম্ফ নোডে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ধরা পড়লে, ফাইভ ইয়ার সার্ভাইভ্যাল রেট প্রায় ৯৯%, জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

Also Read: ৬, ৬, ৪, ৬, ৪…ফের সরফরাজ সুনামি, ধুন্ধুমার শতরানে জাত চেনালেন তরুণ তুর্কি !!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *