গত বছর বহু ধুমধাম করে গুজরাত টাইটান্স থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফেরানো হয়েছিলো হার্দিক পান্ডিয়াকে (Hardik Pandya)। রোহিত শর্মা’র (Rohit Sharma) মত কিংবদন্তি অধিনায়ককে সরিয়ে তারকা অলরাউন্ডারের হাতে তুলে দেওয়া হয় নেতৃত্বের ব্যাটন। যে সাফল্য আশা করেছিলো মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজি, তার ছিটেফোঁটাও অবশ্য উপহার দিতে পারেন নি হার্দিক। উলটে তাঁর অধিনায়কত্ব পাওয়া নিয়ে সাজঘরের অন্দরেই তৈরি হয়েছিলো জটিলতা। গৃহযুদ্ধের খবর প্রকাশিত হয়েছিলো সংবাদমাধ্যমেও। দলের পারফর্ম্যান্স ঠেকেছিলো তলানিতে। ২০২৪-এর চরম ব্যর্থতার পর ২০২৫-এ হার্দিককে (Hardik Pandya) নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখেছিলো মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজি। খানিক ঘুরে দাঁড়নোর ইঙ্গিতও দিয়েছিলো দল। কিন্তু শেষমেশ অধরাই থেকে গিয়েছে কাঙ্ক্ষিত ষষ্ঠ আইপিএল (IPL) ট্রফি।
Read More: ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট দল ঘোষণা ইংল্যান্ডের, ৩ বছর পর দলে ফিরলেন IPL কাঁপানো এই তারকা !!
অধিনায়ক বদলের ভাবনা মুম্বইয়ের ?
অষ্টাদশতম আইপিএলের শুরুটাও ভালো হয় নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (MI)। প্রথম পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হেরেছিলো তারা। তবে মরসুমের মাঝপথে ছন্দে ফেরে তারা। একটানা বেশ কয়েকটি ম্যাচ জিতে পা রাখে প্লে-অফে। এলিমিনেটর ম্যাচে গুজরাত টাইটান্সকেও হারায় তারা। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ফের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় তারা। শ্রেয়স আইয়ারের ধুন্ধুমার ৮৭* রানের সৌজন্যে ছিটকে যেতে হয় তাদের। ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে বেশ দিশাহারা দেখিয়েছে হার্দিককে (Hardik Pandya)। তাঁর বোলিং পরিবর্তন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিশেষ করে জসপ্রীত বুমরাহ’র (Jasprit Bumrah) মত অস্ত্র’কে কেন পঞ্চম ওভারের আগে আক্রমণে আনলেন না তা বোধগম্য হচ্ছে না কারও। পাওয়ার-প্লে’তে বুমরাহ সাফল্য পেলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৩ সালে অধিনায়কত্ব পেয়েই মুম্বইকে ট্রফির স্বাদ দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। এরপর তাঁর হাত ধরে ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০ সালেও খেতাব জিতেছে মুকেশ আম্বানির দল। কিন্তু পূর্বসূরির পথে হাঁটতে পারেন নি হার্দিক (Hardik Pandya)। গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক হিসেবে ২০২২-এ ট্রফি জিতলেও মুম্বইতে এখনও পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে ‘ব্যর্থ’ই বলা যায় তাঁকে। এমতাবস্থায় আগামী বছর তারকা অলরাউন্ডারকে আর নেতার ভূমিকায় দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ক্রিকেটমহল। যদি হার্দিকের কাছ থেকে সত্যিই অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয় তাহলে তা তুলে দেওয়া হতে পারে সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) হাতে। এই মরসুমে হার্দিকের অনুপস্থিতিতে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। আগামী বছর পেতে পারেন পূর্ণ সময়ের দায়িত্ব।
বোলারদের দুষেছিলেন হার্দিক-
মুল্লানপুরের মহারাজা যাদবিন্দ্র সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে প্রথম ব্যাট করেছিলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI)। তারা ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে করে ২০৩ রান। এক ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বোলিং বিভাগের কাঁধেই দোষ চাপিয়েছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বোলিং ইউনিট হিসেবে বড় ম্যাচে নিজেদের পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়ন করতে হয়। ওরা শান্ত ছিলো। কিন্তু চাপের মুখে আমরা নিজেদের পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়ন ঘটাতে পারি নি। উইকেটকে আমি দোষ দেব না। সঠিক লেন্থে বোলিং করতে পারতাম, অথবা সঠিক সময়ে সঠিক বোলারকে ব্যবহার করতে পারতাম। ফিরে দেখলে মনে হয় যে ফলাফল অন্য কিছুও হতে পারত।”