ভারতীয় মহিলা দলের ভাইস ক্যাপ্টেন স্মৃতি মন্ধনা (Smriti Mandhana) বিগত কয়েকদিন ধরেই সমাজ মাধ্যমে চর্চায় রয়েছেন। পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে জোর কদমে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল স্মৃতির। তবে, এক মুহূর্তেই থমকে গেল সব। স্মৃতির পিতা হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বন্ধ হয়েছিল তাঁদের বিয়ে। তাদের এই বিয়ে স্থগিত রাখার ঘটনার মাঝে উঠে এসেছে পলাশ মুচ্ছল ও মেরি ডি’কস্টাকে ঘিরে নতুন বিতর্ক। নেটদুনিয়ার দাবি, স্মৃতি ও পলাশের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার নেপথ্যে মেরিই নাকি দায়ী। কয়েকদিন নীরব থাকলেও অবশেষে মুখ খুললেন মেরি। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তাঁর সঙ্গে পলাশের সম্পর্ক।
স্মৃতিকে ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পলাশের নামে

মেরি সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বলেছেন যে পলাশের সঙ্গে তাঁর কোনওদিন সরাসরি দেখা পর্যন্ত হয়নি। তবে যেসব চ্যাটের স্ক্রিনশট ঘুরছে সোশাল মিডিয়ায়, সেগুলোর সত্যতা তিনি অস্বীকার করেননি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সমাজ মাধ্যমে পলাশ ও মেরির কথোপকথনের নানান স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছিল। ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটে পলাশ তাকে সাঁতার কাটতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, আবার কোথাও সমুদ্রসৈকতে একসঙ্গে সময় কাটানোর প্রস্তাব। এমনকি, স্ক্রিনশটের এক অন্য অংশে দেখা যায়, দীর্ঘ দূরত্বের কারণে স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্ক সামলানো কঠিন হয়ে উঠছে বলেও মেরিকে জানিয়েছিলেন পলাশ। তাদের আলাপচারিতায় ছিল কিছু ব্যক্তিগত ইঙ্গিত যেটি কৌতূহল ও বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।
এই ঘটনার মাঝেই হঠাৎ নিজের সমস্ত পোস্ট ইনস্টাগ্রাম থেকে মুছে ফেলেন মেরি। পরদিন একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেন, জুলাই মাসের দিকে তিনিই নাকি এই চ্যাটের স্ক্রিনশটগুলি সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন, তবে তখন কেউ বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দেয়নি কারণ সে সময় পলাশ কোনো পরিচিত মুখ ছিলেন না। এপ্রিল বা মে মাস নাগাদ পলাশের সাথে এই কথোপকথন গুলো হয়েছিল। তিনি আরও বলেন যে, তাদের সঙ্গে কোনোদিন দেখাও হয়নি, আর তিনি কোনও কোরিওগ্রাফারও নন, আর তাঁর সঙ্গে পলাশের কোনও ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও কখনওই ছিল না।
পলাশকে নিয়ে খোলাসা মেরির

মেরি আরও জানিয়েছেন যে, তিনি নিজেও ভারতীয় মহিলা দলের ভাইস ক্যাপ্টেন স্মৃতি মন্ধানার (Smriti Mandhana) বড় ভক্ত। যে কারণে, কোনও নারীর সম্মানহানি হওয়ার মতো কাজ তিনি করতে পারেননা বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে সমাজ মাধ্যমে নানান সমালোচনার কারণে তাঁর গোপনীয়তা বাড়াতে হয়েছে তাই তাঁর অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করা, ছবি মুছে ফেলা সবই সেই কারণেই। পাশাপশি তিনি অনুরোধ করেছেন যে, কেউ যেন তাঁর ছবির অপব্যবহার না করেন।