সদ্য সমাপ্ত সিডনি টেস্ট মনে থাকবে টিম ইন্ডিয়ার প্রত্যয়ী লড়াই এবং কঠিন মানসিকতার জন্য। যেভাবে চোট আঘাতের সাথে জর্জরিত হওয়া সত্ত্বেও পঞ্চম দিনে ম্যাচ বাঁচিয়ে নিয়ে এসেছে ভারত, তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। হাতের চোটে আহত থাকা ঋষভ পন্থ এবং হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া হনুমা বিহারি অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যেই অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। আর এই নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।
কিন্তু ম্যাচের পরেই বিশ্লেষকদের মনে প্রশ্ন উঠেছে এই ম্যাচে উপযোগ হওয়া আইসিসির দুই নিয়ম নিয়ে। গত কয়েক বছরে ক্রিকেটের একাধিক নিয়ম বদল করেছে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। আর এর জেরে ক্রিকেটের ধরণেও এসেছে বদল। কিন্তু একটি নিয়ম বদলে যেমন সুবিধা ভোগ করেছে টিম ইন্ডিয়া, সেখানে আরও একটি নিয়ম বদলে বেশ ভুগেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। আর এই নিয়েই এবার নতুন করে উঠেছে আলোচনা।
প্রথম ইনিংসে প্যাট কামিন্সের বলে হাতে আঘাত পেয়েছিলেন ঋষভ পন্থ, যদিও সেই চোট নিয়েই ব্যাট করছিলেন সেই ইনিংসে। কিন্তু চোট বেড়ে যাওয়ায় আর কিপিং করতে নামেননি পন্থ। আইসিসির নয়া নিয়ম অনুযায়ী, কিপার চোট পেলে প্রয়োজনে পরিবর্ত কিপার নামাতে পারে কোনও দল। আর সেই নিয়মের সুযোগ নিয়ে আরও বেশি ভালো কিপার ঋদ্ধিমান সাহাকে নামিয়েছিল ভারত। আর এর জেরে মার্নাস লাবুশানের দুর্দান্ত একটি ক্যাচ ধরেন ঋদ্ধি, যাতে অনেকেই ভেবেছেন, ঋষভ পন্থ থাকলে এই ক্যাচ ধরতে পারতেন না।
এদিকে রান তাড়া করতে গিয়ে ফের ব্যাট হাতে নামেন ঋষভ পন্থ। আর এই নিয়ে বিতর্ক বেড়েছে অনেকের মধ্যে। তাদের প্রশ্ন, যদি কিপিং করতে নাই পারেন ঋষভ, তাহলে কোনওরকম ব্যান্ডেজ না বেঁধে কি করে ব্যাটিং করতে নেমেছেন ঋষভ? আর তিনি শুধু নামেননই, দুর্ধর্ষ ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন এই তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
এদিকে আরও একটি নিয়মে বেশ ভুগেছে টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন হনুমা বিহারি, যার জেরে তিনি দৌড়তেই পারছিলেন না। কিন্ত আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, চোট লাগলেও রানার্স নেওয়া যাবে না। আর এর জেরে কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বল ডিফেন্ডই করে গেলেন বিহারি।
আর এর জেরে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যদি বিহারি রানার্স পেতেন, তাহলে হয়ত আরও বেশি রান উঠত এবং ম্যাচ জেতার চেষ্টা করতে পারতেন অশ্বিন ও বিহারি। কিন্তু রান নিতে না পারায় কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বল ডিফেন্ডই করে গেলেন এই দুই ক্রিকেটার।