কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) সমর্থকদের চোখের মণি বলা যেতে পারে গৌতম গম্ভীরকে (Gautam Gambhir)। প্রথম তিনটি মরসুমে শেষ চারের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে নি শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ব্রেন্ডন ম্যাকালামদের মত স্বনামধন্য অধিনায়করাও পারেন নি দল’কে সাফল্য এনে দিতে। এরপর চতুর্থ মরসুমে গম্ভীরের আগমনের সাথে সাথে যেন বদলে যায় ভাগ্য। প্রথমবার প্লে-অফের স্বাদ পায় কলকাতা (KKR)। দ্বিতীয় মরসুমে আসে সেরার শিরোপা। ফাইনালে ‘ফেভারিট’ চেন্নাই সুপার কিংসকে তাদের হোমগ্রাউন্ড চেপকে হারিয়ে ট্রফি জেতে নাইট বাহিনী। এরপর ২০১৪তে ফের খেতাব আসে বেঙ্গালুরুর মাঠে পাঞ্জাব’কে হারিয়ে। ২০১৭ সালে কলকাতা ছাড়ার আগে গম্ভীর (Gautam Gambhir) নাইট রাইডার্সকে আইপিএলের অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
Read More: ভক্তদের জন্য সুসংবাদ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় দলের মেন্টর হিসাবে এন্ট্রি নিচ্ছেন MS ধোনি !!
গম্ভীরকে খোঁচা মনোজ তিওয়ারির-
২০১৪-র পর তৃতীয় আইপিএল (IPL) ট্রফির জন্য এক দশক অপেক্ষা করতে হয়েছিলো কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (KKR)। ২০২৪-এ যেবার খেতাব এলো, সেবারও কাকতালীয় ভাবে শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে জড়িয়ে গম্ভীরই। মেন্টর হিসেবে ডাগ-আউটে ছিলেন তিনি। য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নামের সাথে যেমন জড়িয়ে বিরাট কোহলির নাম, চেন্নাই বলতেই যেমন ক্রিকেটজনতার মনে পড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির কথা, তেমনই নাইট রাইডার্সের (KKR) সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে গম্ভীরের (Gautam Gambhir) নাম। জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি যখন নাইট রাইডার্সের মেন্টরের আসন ছেড়ে সরে দাঁড়ান, তখন স্বজন হারানোর বেদনা অনুভব করেন নি, এমন নাইট ভক্ত খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গম্ভীরের প্রতি এই অনুরক্ততা ভালো চোখে দেখছেন না প্রাক্তনী মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)।
২০১২ সালে প্রথমবার আইপিএল জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) স্কোয়াডে ছিলেন মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)। চেপকের ফাইনালে উইনিংস স্ট্রোকটাও এসেছিলো তাঁর ব্যাট থেকে। বাংলার ক্রিকেটারের শটেই ট্রফি জিতেছিলো বাংলার ফ্র্যাঞ্চাইজি। দলের সাফল্যে অবদান রাখার পরও যেভাবে উপেক্ষিত নায়ক হয়ে থাকতে হয়েছে তাঁকে তা মনপসন্দ নয় মনোজের। প্রাপ্য সম্মান পান নি আরও অনেকেই, মনে করছেন তিনি। টিভি ১৮-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “গৌতম গম্ভীর একা তো কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ট্রফি এনে দেয় নি। ক্যালিস, নারাইন, আমি-আমরা সকলে একজোট হয়ে দলের সাফল্যে অবদান রেখেছিলাম। কিন্তু দিনের শেষে স্বীকৃতিটা কে নিয়ে গেলো? গম্ভীরের পিআর এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে যাতে পুরো স্বীকৃতিটা ও’ই পায়।” পালটা কোনো মন্তব্য অবশ্য এখনও করেন নি বর্তমান ভারতীয় কোচ।
পিআর নিয়ে আগে সোচ্চার হয়েছেন খোদ গম্ভীর-
টিম ইন্ডিয়ার কোচের পদে বসার আগে বেফাঁস মন্তব্য প্রায়শই করতেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) নিজেও। ২০১১ সালে ভারত যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলো, তখন যে পরিমাণ কৃতিত্ব অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি পেয়েছিলেন, তার ছিটেফোঁটাও বাকিরা পান নি বলে আকারে-ইঙ্গিতে মাঝেমধ্যেই ইঙ্গিত করতেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই ফাইনালে ৯৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছিলেন গম্ভীর (Gautam Gambhir)। ধোনির ধুন্ধুমার ৯১*তে অবশ্য ঢাকা পড়ে গিয়েছিলো তা, সেই নিয়ে মনের কোণে যে খানিক উষ্মা রয়েছে তাঁর, তা বারবারই প্রকাশিত হত তাঁর মন্তব্যে। এমনকি শচীন তেন্ডুলকর, যুবরাজ সিং, বীরেন্দ্র শেহবাগরাও বিশ্বজয়ের প্রাপ্য কৃতিত্ব পান নি বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে যে পি আর-এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি, মনোজের সাক্ষাৎকারের পর সেই পিআর কাঁটাতেই বিদ্ধ হতে হলো তাঁকে।
Also Read: ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন KKR তারকা, মরসুম শুরুর আগেই দুঃসংবাদ ভক্তদের জন্য !!