কলম্বো: ইংল্যান্ডে আয়োজিত মহিলা বিশ্বকাপের পর দেশের সমর্থকরা আপাতত তাঁকে নিয়েই মজে রয়েছেন। কারণ অবশ্য দুটো। প্রথমত তাঁর অনবদ্য পারফরমেন্স, দ্বিতীয়ত তাঁর প্রাণোচ্ছল হাসি। নিশ্চয়ই বুঝতে বাকি নেই কার কথা বলা হচ্ছে। হ্যাঁ, তিনি স্মৃতি মান্ধানা। মহিলা বিশ্বকাপের বেশ কিছু ম্যাচে নজরকাড়া ব্যাটিং করে সংবাদের শিরোনামে চলে অসেন। মাঠ হোক কী মাঠের বাইরে, ছক্কা হাঁকিয়ে বিপক্ষকে হারিয়ে দিচ্ছেন সহজেই।
মহিলা বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে ভারতের জয়ের পেছনে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেন ৯০। তারপরের ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাট থেকে অাসে ১০২ রানের অসামান্য ইনিংস। বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলিতে তাঁর ব্যাট থেকে অার বড় রান না এলেও, প্রথম দুই ম্যাচে খেলার পরই সৌরভ, সহবাগদের সঙ্গে তুলনা হয়েছে স্মৃতির। তবে নিজে বাঁ হাতি হওয়ায় প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর তুলনাটা বেশ জোরালো হয়। তবে মান্ধনা নিজে জানিয়ে দেন, সৌরভকে তিনি সম্মান করলেও, তাঁর অনুপ্রেরণা হলেন প্রাক্তন শ্রীলঙ্কা ব্যাটসম্যান কুমার সঙ্গকারা।
ভারতীয় মহিলা দলের এই ওপেনার বললেন, ‘যখনই আমার মনে হয় যে আমি ঠিকঠাক করে খেলতে পারছি না, তখনই আমি সঙ্গকারার ভিডিও দেখি। ওনার ব্যাটিং স্টাইল আমার খুব ভালো লাগে।’ এরপর তিনি অারও বলেন, ‘সৌরভকে আমি অনেক সম্মান করি। তবে সঙ্গকারার মধ্যেই আমি যেন নিজেকে খুঁজে পাই। সত্যি কথা বলতে কী, আমি সৌরভের ব্যাটিং ভিডিও খুব বেশি দেখিনি। কারণ সঙ্গকারাই আমাকে সবথেকে বেশি অনুপ্রাণিত করে।’ মান্ধানা যোগ করেন, ‘আমি সঙ্গকারার মতো কভার ড্রাইভ মারার চেষ্টা করি। প্রথমে আমি আমার ভাইয়ের ব্যাটিং স্টাইল নকল করতাম। কিন্তু, সঙ্গকারার ব্যাটিং ভিডিও দেখার পর আমি বুঝতে পারি যে কোথায় কোথাকে আমাকে উন্নতি করতে হবে।’
ভারতীয় ব্যাটসম্যানের এই কথাগুলি অবশ্য পৌঁছে যায় কুমার সঙ্গকারার কানে। মান্ধানার মুখে তাঁর স্তুতি শুনে বেশ খুশি প্রাক্তন এই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারটি। সেই ইঙ্গিত দিয়েই তিনি বলেন, ‘আমার নাম নেওয়ার জন্য স্মৃতিকে ধন্যবাদ জানাই। ও একজন অসাধারণ ক্রিকেটার। ওর মুখে আমার নাম শুনতে পেয়ে নিজেকে অত্যন্ত গর্বিত মনে করছি।’ প্রিয় ক্রিকেট নায়কের থেকে এমন বার্তা পেয়ে স্মৃতি পাল্টা বলে দেন, ‘আমার তরফ থেকে ওনাকে ধন্যবাদ জানাবেন।’