এত তাড়াতাড়ি ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান না। আর সেই জন্য়ই কাঁধে অস্ত্রোপচার করিয়ে নিলেন। এছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিল না। দশম আইপিএলের দ্বিতীয় ম্য়াচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্য়াচে ডাইভ দিয়ে একটা ক্য়াচ ধরতে গিয়ে কাঁধের হাড় সরে যায় ক্রিস লিনের। ডাক্তার উপদেশ দিয়েছিলেন, অস্ত্রোপচার না করালে আরওএকটা চোট ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ করে দিতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ফ্র্য়াঞ্চাইজির এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারটির। সাতাশ বছরের এই ক্রিকেটারটিকে কাঁধের চোট বহুদিন ধরেই ভোগাচ্ছে। কাঁধে অস্ত্রোপচার সম্পর্কে ক্রিস জানান, ” কাঁধে কেন অস্ত্রোপচার করালাম? ক্রিকেট কেরিয়ার যাতে তাড়াতাড়ি শেষ না হয়ে যায়, তার জন্য়ই অস্ত্রোপচার করাতে হলো। ক‘দিন হয়ত মাঠের বাইরে কাটাব। কিন্তু, বেশিদিন খেলা চালিয়ে যেতে পারব। কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে কথাটা শুনতে চাই না, তবে খেলার মাঠে চলার পথে সামনে এসেই যায়। আমাকে খেলার মাঠে আরও সতর্ক হতে হবে, চৌখস হতে হবে।”


গত দু‘বছরে তিনবার কাঁধের চোট ভোগাল ক্রিস‘কে। আইপিএলের শুরুতেই চোট পাওয়ায় টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ সময়টা শুশ্রুষাতেই চলে যায়। খেলা আর হয়ে ওঠেনি। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাঁ-কাঁধেই চোট লেগে হাড় সরে গিয়েছিল। ২০১৬-১৭‘র বেশির ভাগটা মাঠের বাইরেই কাটান। ২০১৪ সালে ওই বাঁ-কাঁধেই অস্ত্রোপটার করাতে হয়। বর্তমানে অস্ত্রোপচারের পর ক্রিস এখন রিহ্য়াবিলিশনে আছেন। আসন্ন বিগব্য়াশ লিগে তাঁকে পাওয়া যাবে না বলাই চলে। প্রতিযোগিতার শেষ পর্ব পর্যন্ত তাঁর দল যদি টিকে থাকে, তাহলে ততদিনে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে কুইন্সল্য়ান্ডের এই বিস্ফোরক ব্য়াটসম্য়ানটিকে। তবে, এটা অবশ্য় জানিয়ে দিয়েছেন, চোট তাঁকে যতই ভোগাক, লম্বা লম্বা ছয় মারার অভ্য়াসের সঙ্গে তিনি কখনই আপস করবেন না।
ক্রিস বলেন, ”বিগব্য়াশ লিগ সামনে। মাঠে নামতে পারব না। কারণ, সুস্থ হয়ে উঠতে এখনও সময় লাগবে। মনটা খুঁতখুঁত করলেও, অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্তটা ঠিকই ছিল। আমি সবক‘টা টুর্নামেন্টে খেলতে চাই। আমি নিজের ছাপ রাখতে চাই। বারো মাস সুস্থ থাকাই আমার লক্ষ্য়। কাঁধের চোটটাকে আমি পিছু ছাড়াতে চাই। ক্রিকেট খেলাটাকে আবার উপভোগ করার ইচ্ছে, কোনওরকম ব্য়াথাকে সঙ্গী না করে। খেলার টেকনিক সামান্য় পরিবর্তন আনব। কিন্তু, খেলার স্টাইল বদলাব না।”
ক্রিস লিন এরপর বলেন, ”ফিল্ডিং করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। বাউন্ডারি লাইনে কখনই দৌড়ানো যাবে না। বল আটকাতে গেলে বুট দিয়ে আটকাতে হবে, ঝাঁপিয়ে না পড়ে। দেখা যাক মাঠে ফেরার পর বারো মাস কেমন কাটাই। শূন্য় হোক বা একশো শতাংশ, ক্রিকেট কেরিয়ারে দশটা বছর মাঠে তো কাটাতেই হবে যে করে হোক।”
উল্লেখ্য়, গত বছর বিগব্য়াশ লিগে ৫ ম্য়াচে ৩০৯ রান করেছিলেন ক্রিস লিন। ২৬টি ছয় মেরেছিলেন। তাঁর দল ব্রিসবেন হিটসের হয়ে গাব্বাতে ফের খেলতে নামার জন্য় মুখিয়ে রয়েছেন এই অজি ক্রিকেটারটি।