ভারতীয় ক্রিকেটে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় থাকবে রোহিত শর্মা’র (Rohit Sharma) নাম। ব্যাট হাতে কত ম্যাচ যে একাই ঘুরিয়ে দিয়েছেন তার সঠিক হিসেব করতে পরিসংখ্যানবিদদেরও নিঃসন্দেহে ভ্রু কুঁচকে যাবে। ইতিমধ্যে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ১০০০০-এর বেশী রান করে ফেলেছেন তিনি। শতক সংখ্যার নিরিখে ভারতীয়দের মধ্যে বিরাট কোহলি ও শচীন তেন্ডুলকরের পরেই রয়েছেন রোহিত (Rohit Sharma)। টি-২০তেও তাঁর পরিসংখ্যান নজরকাড়া। ৪০০০-এর বেশী রান করেছেন। সাথে করেছেন ৫টি শতরানও। আন্তর্জাতিক টি-২০তে সর্বোচ্চ সংখ্যক শতকের নজির রয়েছে তাঁরই। বর্তমানে রোহিতের (Rohit Sharma) কেরিয়ার শেষের দিকে। ইতিমধ্যে ৩৮ পেরিয়েছেন তিনি। টেস্ট ও টি-২০ থেকে অবসরও নিয়ে ফেলেছেন। তবে তাঁর শূন্যস্থান ঢাকতে পরের প্রজন্ম যে প্রস্তুত তার প্রমাণ মিললো মাইসুরুর মাঠে।
Read More: বিরাট-রোহিতকে জায়গা দিতে গিয়েই ক্যাপ্টেন্সি হারালেন ঋষভ পন্থ, ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য !!
কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা (KSCA) আয়োজিত মহারাজা ট্রফির ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো গুলবর্গা মিস্টিকস ও বেঙ্গালুরু ব্লাস্টার্স। শ্রীকান্তদত্ত নরসিংহ রাজা ওয়াডেয়ার মাঠে ঝড় তুলতে দেখা গেলো লভিশ কৌশল’কে (Luvish Kaushal)। প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে বেশ চাপে ছিলো গুলবর্গা। নাইট রাইডার্স স্কোয়াডে থাকা লভনীত সিসোদিয়া রান পান নি। প্রজ্জ্বল পবন, স্মরণ রবিচন্দ্রণরাও দ্রুত ফেরেন সাজঘরে। লভিশ (Luvish Kaushal) ব্যাট করতে নেমেছিলেন আট নম্বরে। যখন ক্রিজে আসেন তখন ৪১ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারিয়ে বেশ ব্যাকফুটে গুলবর্গা। প্রবীন দুবে, ইউনুস আলি বেগদের থেকেও কোনো সাহায্য পানি নি তিনি। ধুঁকতে থাকা মিস্টিকসদের হয়ে কার্যত একাই রুখে দাঁড়ান তিনি। ৩০ বলে ৫৪ করে অপরাজিত থাকেন তিনি। লভিশের অসামান্য অর্ধশতকে ভর করেই ১০০’র গণ্ডী পেরোয় গুলবর্গা মিস্টিকস। ১৯.৫ ওভারে তারা অল-আউট হয় ১১২ তুলে।
২টি চার ও ৫টি বিশাল ছক্কায় ইনিংস সাজিয়েছিলেন লভিশ কৌশল। কঠিন পরিস্থিতিতেও বাম হাতি তারকা ব্যাটিং করেন ১৮০ স্ট্রাইক রেটে। স্বল্প রানের পুঁজি হাতে নিয়ে কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে জয় পাওয়া কঠিন। বিজয় কুমার বৈশাখ, মহসীন রেড্ডি, শশী কুমাররা প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু ব্লাস্টার্সের পাঁচ উইকেট তুলতে সক্ষম হলেও হার এড়াতে পারেন নি। ১৪.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। বেঙ্গালুরুর হয়ে ৪৮ বলে ৭৫ করে অপরাজিত থাকেন ওপেনার এল আর চেতন। ১০ টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। স্ট্রাইক রেট ছিলো ১৫৬.২৫। ব্লাস্টার্সদের মিডল অর্ডারও বিশেষ সুবিধা করতে পারে নি মাইসুরুর মাঠে। রোহন পাতিল, শুভাঙ্গ হেগড়েরা পেরোন নি দশের গণ্ডি। লোয়ার অর্ডারে রোহন নবীনের ১৫ বলে ১৬ রানের কার্যকরী ইনিংস তফাৎ গড়ে দেয়। ৪১ রানের জুটি গড়েন লভিশ ও রোহন (Rohan Naveen)।
দেখে নিন ম্যাচের স্কোরকার্ড-
