ইংল্যান্ডের হয়ে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ইয়ন মর্গ্যান (Eion Morgan) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। মাঠে বেশ সিরিয়াস দেখায় মর্গানকে এবং বিতর্কের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। তবে এটা জানলে অবাক হতে হবে জে ক্রিকেট মাঠে গম্ভীর দেখানো ইয়ন মর্গ্যান বাস্তব জীবনে খুবই রোমান্টিক এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি! তাদের প্রেমের গল্পটি বেশ রোমান্টিক। এবার বিস্তারিত জেনে নিই ইয়ন মরগান ও তার স্ত্রী তারা রিজওয়ের প্রেমের গল্প।
১৭ বছরের তারার সঙ্গে মর্গ্যানের ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’
তারার সাথে মর্গ্যানের প্রথম দেখা হয় ২০১০ সালে। আসলে ২০১০ সালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল অ্যাশেজ সিরিজের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরে ছিল। সিরিজ চলাকালীন তাদের অবসর সময়ে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা মজা করতে অ্যাডিলেডের একটি বারে গিয়েছিলেন। সেই সময় মর্গ্যানের বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। বারে, সেই তরুণ ক্রিকেটার তারা রিজওয়ে নামের ১৭ বছর বয়সী এক সুন্দরী মেয়ের সাথে দেখা করেন। এই সুন্দরী মেয়েটিকে প্রথম দেখাতেই মন হারান মর্গ্যান। অনেক সাহস নিয়ে মর্গ্যান তারার সঙ্গে কথা বলেন। তারাও মর্গানের সাথে এই আলাপে খুব খুশি হন এবং এইভাবে দুজনের মধ্যে কথা শুরু হয়।
এভাবেই শুরু হয়েছিল ইয়ন মর্গ্যানের প্রেমের গল্প
পানশালায় কথা বলার পর শুরু হয় দু’জনের সাক্ষাতের পর্ব। মর্গ্যান প্রায়ই তারার সঙ্গে দেখা করতে অস্ট্রেলিয়া যেতেন। তারা তখন ছাত্রী। তিনি প্রথমে এলএলবি করেন এবং তারপরে তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও জনসংযোগ বিভাগে স্নাতক করেন। এর মধ্যে তারা মডেলিংয়ে করে নাম কুড়িয়ে নেন। মর্গ্যান চেয়েছিলেন তারা আগে তার পড়াশোনা শেষ করুক, তারপর তারা তাদের সম্পর্ককে বিয়ের পর্যায়ে নিয়ে যাবেন।
২০১৮ সালে তারা রিজওয়ের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন মর্গ্যান
সম্পর্কে জড়ানোর কিছুদিন পরে, তারা লন্ডনে চলে যান এবং মর্গ্যানের সাথে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন। তারার পড়াশুনা শেষ হওয়ার সাথে সাথে দুজনেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। ইয়ন মরগান ২০১৭ সালে তারা রিজওয়ের সাথে বাগদান করেছিলেন। ইয়ন এবং তারার সম্পর্ক নিয়ে দুই পরিবারই খুশি ছিল। বাগদানের পর ২০১৮ সালে দুজনেই ধুমধাম করে বিয়ে করেন। ইয়ন ও তারার বিয়েতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অনেক খেলোয়াড়ও উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের প্রায় দুই বছর পর, ৯ মার্চ ২০২০তে, মরগান দম্পতির একটি ছেলে হয়। এখন সব মিলিয়ে মর্গ্যানের পরিবার বেশ সুখি।