চোট সারিয়ে দলে ফেরার পর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজে ভালো খেললেও, একদিনের সিরিজে টানা তিনটি ম্য়াচে ডাহা ফেল দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর অত্য়ন্ত স্নেহধন্য় কান্নুর লোকেশ রাহুল। প্রথম ম্য়াচে না হয় মাঠে নামার সুযোগ পাননি। কিন্তু, তারপরের তিনটি ম্য়াচে নিজেকে প্রমাণ করার ভালো সুযোগ ছিল তাঁর সামনে। তবে, তা কাজে লাগাতে ব্য়র্থ হন। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার চতুর্থ ম্য়াচে রাহুলের কর্ণাটক টিমের সদস্য় মণীশ পান্ডে ফর্মে ফিরেছেন। হাই-স্কোরিং ম্য়াচে ধোনির সঙ্গে ১০১ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ করার পাশাপাশি অর্ধশতরান করেছেন। আর তারপরেই লোকেশ রাহুলের ব্য়র্থতা নিয়ে কথা শুরু হয়ে গিয়েছে। বন্ধু রান না পেলেও, তাঁর হয়ে মাঠের বাইরে ব্য়াটিং করলেন মণীশ।
টেস্টের আসরে টানা আটটি অর্ধ-শতরান করে রেকর্ড গড়ায় একদিনের সিরিজে লোকশের দিকে আলাদা করে নজর সবার। বিশেষ করে যুবরাজ সিং‘কে এই সিরিজে দলে না রাখায় চার নম্বরে তাঁকে নামানো হচ্ছে। কিন্তু, কোচ ও অধিনায়ক তাঁকে বারবার সুযোগ দিয়ে চললেও, ব্য়াটে মোটেই রান নেই। ৪, ১৭ ও ৭- গত তিনটি ম্য়াচে তাঁর অবদান ২৮ রান। সিরিজে আর মাত্র একটি ম্য়াচে বাকি। শাস্ত্রী ও বিরাটের সুনজরে থাকায় সিরিজের শেষ ম্য়াচেও প্রথম একাদশে তাঁর জায়গা হবে, এনিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তবে, পারফর্ম করার চাপ তাঁর ওপরে থাকবেই। বন্ধুর দুর্দিনে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন গত বৃহস্পতিবার অর্ধশতরান করা ফর্মে ফেরা মণীশ পান্ডে।
মণীশের মতে টেস্টের আসরে ওপরের দিকে ব্য়াটিং করায় রাহুলের অসুবিধে হচ্ছে মিডল অর্ডারে এসে মানিয়ে নিতে। আর তাছাড়া কর্ণাটক দলের হয়ে রাহুল ওপেন করেন। মণীশ বলেন, ”রাহুলের টপ অর্ডারে ব্য়াট করা অভ্য়াস। কিন্তু, এখানে (মানে জাতীয় দলে) সে সুযোগ নেই। তাই এই পরিস্থিতি থেকে ওকে বেরিয়ে আসতে হলে, নিজেকেই চেষ্টা করতে হবে। ওকে মিডল অর্ডারে কিভাবে ব্য়াট করতে হয়, তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। ওপেন করা আর তিরিশ ওভার চলে যাওয়ার পর মাঠে নেমে খেলা এক নয়। ওকে একটু সময় দিতে হবে। কয়েকটা ম্য়াচে ওই পজিশনে খেলতে খেলতে অভ্য়স্ত হয়ে গেলে মানিয়ে নেবে। আমারও একই সমম্য়া হচ্ছিল। আমার চার নম্বরে ব্য়াট করা অভ্য়াস। সেখানে আমাকে ছয় নম্বরে মাঠে নামতে হচ্ছে। ২৫ ওভার পরে মাঠে নামা অভ্য়েস। কিন্তু, এখানে ৪০ ওভার পেরিয়ে যাওয়ার পর মাঠে নামছি। তাই সময় একটু লাগে। যে যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারে, সে তত ভালো ব্য়াটসম্য়ান।‘
সিরিজের প্রথম তিনটি ম্য়াচে সুযোগ জোটেনি। কিন্তু, চতুর্থ ম্য়াচে সুযোগ পেয়ে তা হেলায় না হারিয়ে হাফ-সেঞ্চুরি করছেন। সে প্রশঙ্গে মণীশ বলেন, ”ব্য়াটিং অর্ডারের যেখানেই সুযোগ আসুক না কেন আমাকে তৈরি থাকতেই হবে। দলে আমাকে যখনই সুযোগ দেওয়া হবে, তখনই আমাকে রান করতে হবে। নাহলে নিজের জায়গা পাকা করতে পারব না। আর ভাল পারফর্ম করতে থাকলে, তবেই ভলো খেলে যেতে পারব। হয়ত কোনওদিন ব্য়াটিং অর্ডারে ওপরে খেলার সুযোগ এসে যেতেও পারে। তখন সেই পজিশনে ভালো খেলে ভারতকে ম্য়াচ জিতিয়ে ওই জায়গাটা ধরে রাখাই আমার লক্ষ্য় হবে।”