বিশ্ব ফুটবলে লিওনেল মেসির (Lionel Messi) পায়ের জাদুতে বছরের পর বছর ধরে মুগ্ধ হচ্ছেন ভক্তরা। ফলে তাকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। পৃথিবীর যে প্রান্তেই পৌঁছে যান না কেন ফুটবল ভক্তরা তাকে কুর্নিশ জানান। ভারতেও তার কোটি কোটি সমর্থক রয়েছে। ফুটবল পাগল এই দেশে শুক্রবার ভোর-রাতে পা রেখেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। আজ তাকে একবার দেখার জন্য যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ফুটবলের উন্মাদনায় ভাসছিল। কিংবদন্তি ফুটবলার মাঠে প্রবেশ করতেই আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই। কিন্তু স্বচক্ষে ভালো করে দেখাই হলো না মেসিকে। সেই রাগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ভাঙচুর চালান উন্মত্ত জনতা।
Read More: ‘৬,৬,৬,৬,৬,৬..’, এশিয়া কাপের মঞ্চে যুবরাজের রেকর্ড ভেঙে চুরমার করলেন বৈভব সূর্যবংশী !!
কলকাতায় লিওনেল মেসি-

শুক্রবার ভোর-রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফ্ল্যাইটে কলকাতায় এসে পৌঁছান লিওনেল মেসি। তার সঙ্গে এসেছেন ইন্টার মিয়ামির (Inter Miami) সতীর্থ প্রিয় বন্ধু লুইস সুয়ারেজ (Luis Suarez) এবং আর্জেন্টিনার সতীর্থ রদ্রিগো ডি’পল (Rodrigo De Paul)। আজ সকালে হোটেলেই ভার্চুয়ালি নিজের বিশাল মূর্তি উদ্বোধন করেন ফুটবলের রাজপুত্র। সুজিত বসুর তত্ত্বাবধানে ৭০ ফুটের দীর্ঘ এই মূর্তি তৈরি করেছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। নিজের মূর্তি উন্মোচন করার পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মেসি।
তিনি বলেন, “ভারতের মাটিতে আমাকে এইরকম স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এখানে আসা সত্যিই সম্মানের এবং আনন্দের। এই দেশে এসে আমি খুব খুশি। এই মুহূর্ত সকলের সঙ্গে ভাগ করতে পেরে ভালো লাগছে। আর্জেন্টিনা দলের প্রতি এই শহরের বিপুল ভালোবাসা আছে।”
মেসিকে ঘিরে রণক্ষেত্র-

মূর্তি উন্মোচনের পর শনিবার নির্ধারিত সময়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রবেশ করেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটে ভক্তরা স্টেডিয়াম ভরিয়ে দিয়েছিলেন। তাদের প্রত্যাশা ছিল শুধুমাত্র এক ঝলক ফুটবলের এই ঈশ্বরকে দেখবেন। ডিসেম্বরের শীতের আমেজে মিশে গিয়েছিল ফুটবলের উত্তাপ। মেসির (Lionel Messi) সঙ্গে ছিলেন লুইস সুয়ারেজ এবং রডরিগো ডি’পল। মাঠে প্রবেশের পরেই তারা কার্যত কর্মকর্তাদের ঘেরাটোপে চাপা পড়ে যান।
মেসি দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়িয়ে হাসিমুখে সুন্দর মুহূর্ত তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু দর্শকরা স্টেডিয়ামে বসে সেই দৃশ্য দেখতেই পাননি। ৫০ জনের বেশি আয়োজক এবং সহযোগী কর্মকর্তা মন্ত্রীদের ভিড়ে মেসিকে এক ঝলক দেখতে পাননি ভক্তরা। ফলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মাঠের মধ্যে উড়ে আসতে থাকে খালি বোতল। স্টেডিয়ামের চেয়ার ভাঙচুর করেন সমর্থকরা।
মেসির ব্যানার-ছবি ছিঁড়ে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার কারণে তারকা ফুটবলারকে সময়ের আগেই মাঠের বাইরে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। নিরাপত্তার বলয় ভেঙে বেশ কয়েকজন দর্শককে মাঠের মধ্যে প্রবেশ করতেও দেখা গিয়েছিল। এর ফলে রীতিমতো বিতর্কের ঝড় উঠেছে। স্টেডিয়ামের বাইরেও ক্ষোভ উগড়ে দেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এমনকি আগুন ধরিয়েও দিতে চেয়েছিলেন তারা।