২০২২ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল অভিষেক হয়েছিলো কুমার কার্তিকেয়-এর (Kumar Kartikeya)। দুই মরসুমে সাকুল্যে সুযোগ পেয়েছেন ১২টি ম্যাচে। ১০ টি উইকেটও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরেও ২০২৪-এর টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচেও তাঁকে খেলানোর কথা ভাবেন নি অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও কোচ মার্ক বাউচার। গোটা মরসুম মাঠের বাইরেই ছিলেন মধ্যপ্রদেশের তরুণ। মুম্বইয়ের রিটেনশন তালিকায় জায়গা না হওয়ায় কুমার কার্তিকেয় (Kumar Kartikeya) ফের নাম লিখিয়েছিলেন মেগা নিলামে। জেড্ডায় মেগা নিলামের আসরেও তাঁকে নিয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখায় নি কেউই। বেস প্রাইস ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শেষমেশ রাজস্থান রয়্যালসে যোগ দেন তিনি। এখনও গোলাপি-নীল জার্সিতে একটিও ম্যাচ খেলেন নি কার্তিকেয়, কিন্তু কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের জহুরীর চোখ যে প্রতিভা চিনতে ভুল করে নি তার প্রমাণ সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দিলেন তিনি।
Read More: IND vs AUS 3rd Test: “ওর সমস্যাটা আসলে…” বিরাট ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত করলেন ম্যাথু হেডেন !!
ঘরোয়া টি-২০ প্রতিযোগিতা সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে (SMAT) সেরা পারফর্মারদের তালিকায় নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখতে সক্ষম হয়েছেন বছর ২৬-এর কুমার কার্তিকেয় (Kumar Kartikeya)। তাঁর বাম হাতি স্পিনের গোলকধাঁধায় বন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন একের পর এক ব্যাটার। মধ্যপ্রদেশের জার্সিতে তিনি তুলে নিয়েছেন মোট ১৭ উইকেট। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে মিজোরামের মুখোমুখি হয়েছিলো মধ্যপ্রদেশ। ২৬ রান খরচ করে কুমার কার্তিকেয় (Kumar Kartikeya) তুলে নেন ২টি উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচটিতে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ২৯ রান খরচ করেন। পান ১ উইকেট। টি-২০’র পাওয়ার হাউজ বলে পরিচিত পাঞ্জাবের বিপক্ষে জ্বলে ওঠেন তিনি। মাত্র ৩২ রান খরচ করে তুলে নেন ৩টি উইকেট। বাংলার বিপক্ষেও ১টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টে সেরা দুটি ম্যাচ অবশ্য তিনি খেলেছেন রাজস্থান ও হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে।
মরুরাজ্যের বিপক্ষে ৩৬ রানের বিনিময়ে তাঁর ঝুলিতে জমা পড়ে ৩টি উইকেট। আর তারকাখচিত হায়দ্রাবাদকে কার্যত রুখে দেয় তাঁর ৩/২৫-এর অনবদ্য স্পেলটি। মাত্র ৬.২৫ ইকোনমি রেটে বোলিং করেছিলেন তিনি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি ‘ডু অর ডাই’ ছিলো মধ্যপ্রদেশের জন্য। বিহারের বিপক্ষে ১৪ রানের বিনিময়ে তিনি তুলে নেন আরও ২টি উইকেট। সেমিফাইনালে দিল্লীর বিপক্ষেও আঁটোসাঁটো বোলিং করেন কুমার কার্তিকেয় (Kumar Kartikeya)। মাত্র ২৩ রান খরচ করে একটি উইকেট জমা পড়ে তাঁর ঝুলিতে। ফাইনালে মুম্বইয়ের বিপক্ষে যদিও খানিক ছন্দ হারাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ৩৯ রান খরচ করে বসেন তিনি। দলের হারও আটকাতে পারেন নি। সূর্যকুমার যাদব, সূর্যাংশ শেগড়েদের ঝোড়ো ইনিংসের সৌজন্যে ট্রফি ছিনিয়ে নিয়ে যায় মুম্বই’ই। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেতাবী যুদ্ধে প্রথম ব্যাটিং করে ১৭৪ তোলে মধ্যপ্রদেশ। ১৭.৫ ওভারে লক্ষ্যমাত্র ছুঁয়ে ফেলে মুম্বই।
Also Read: IND vs AUS 3rd Test: “কোহলিকে প্রশ্ন করা হচ্ছে না কেন?” ব্রিসবেনের ব্যর্থতায় রুষ্ট কুম্বলে, বিঁধলেন বিরাটকে !!