Mohammad Azharuddin: আজ ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের ৬১তম জন্মদিন। শুধু ভারতীয় দলের নয় বিশ্ব ক্রিকেটে আজহারউদ্দিন বেশ জনপ্রিয় একজন ক্রিকেটার ছিলেন। তবে ক্রিকেটের পাশাপশি ব্যাক্তিগত জীবনে বেশ চর্চায় থাকতেন আজহারউদ্দিন। প্রাক্তন ভারত ক্যাপ্টেন আজহারউদ্দিনের জন্ম ১৯৬৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি হায়দ্রাবাদে হয়েছিল। তিনি পড়াশুনা তেও ভালো ছিলেন এবং বাণিজ্য বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
১৯৮৫ সালে ভারতের জার্সিতে অভিষেক হয় আজহারউদ্দিনের, পারে তিনি ভারতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে ভারত এশিয়া কাপও জয়লাভ করেছিল। আজহার ভারতের জার্সিতে ৯৯ টি টেস্ট, ৩৩৪ টি ওডিআই ম্যাচ খেলে যথাক্রমে ৬২১৫ ও ৯৩৭৮ রান বানিয়েছেন তিনি। ২০০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠার পর আজহারউদ্দিনকে লাইফ টাইম ব্যান করে বিসিসিআই এবং তিনি আর ভারতের জার্সিতে কামব্যাক করতে পারেননি। আজহারের পর ২০০০ সালে সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন হন।
ব্যাক্তিগত জীবনে চর্চায় থাকতেন আজহার

মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন (Mohammad Azharuddin) ১৯৮৭ সালে প্রথম বিয়ে করেন নওরিনকে যিনি ছিলেন তার প্রথম স্ত্রী। তবে ১৯৯৬ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় আজহারের। তৎকালীন সংবাদে সঙ্গীতা বিজলানিকে তাদের মধ্যে দূরত্বের কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল। আবার একই সময়ে সলমন খানের সঙ্গেও নাম জড়ায় সঙ্গীতা বিজলানির। তিনি ছিলেন তাঁর বান্ধবী।
তবে, মিস ইন্ডিয়া সঙ্গীতা বিজলানি এবং আজহারউদ্দিনের সম্পর্কের খবর মিডিয়ার শিরোনাম হয়েছিল, তবে আজহারউদ্দিন এই সম্পর্কের খবর খুব বেশি আড়াল করেননি। আর এই সব খবরের কারণে নওরিনের সঙ্গে আজহারউদ্দিনের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। এরপর দুজনেই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নওরিনের সঙ্গে আজহারের দুই সন্তান ছিল, তাদের মধ্যে একজন ২০১১ সালে বাইক দুর্ঘটনায় মারা যায়।
মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ১৯৯৬ সালে সঙ্গীতা বিজলানিকে বিয়ে করেন। সঙ্গীতার সঙ্গে আজহারউদ্দিনের দ্বিতীয় বিবাহেরও সমাপ্তি ঘটে। ২০১০ সালে এই দম্পতির বিচ্ছেদ ঘটে। এবারেও পরকীয়তা ছিল তার দ্বিতীয় বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার কারণ। শোনা গিয়েছিল দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছেড়ে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় জোয়ালা গুত্তার সম্পর্কের খবর মিডিয়ায় প্রকাশিত হতে শুরু করে। তবে দুজনের কোনো সম্পর্কের খবর কেউই স্বীকার করেননি। পরে আজহারউদ্দিন গোপনে ২০১৭ সালে শ্যানন মেরিকে বিয়ে করেন, যিনি তার তৃতীয় স্ত্রী।