টি২০ ক্রিকেট আজ গোটা বিশ্বে কতটা জনপ্রিয়, সে বিষয়ে বেশি ব্যাখ্যা করতে হবে না। আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকা দশটি দেশে বেশ ধুমধাম করেই আয়োজিত হয় টি২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। এমনকি বেশ কিছু দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও লেগেছে টি২০ এর ছোঁয়া। শুধু ক্রিকেটের হেভিওয়েট দেশই নয়, অন্যান্য দেশেও শুরু হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ।
এবার সেরকম উপায়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে চলেছে নয়া টি২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, যার নাম মেজর লিগ ক্রিকেট। আর সেই লিগে এবার নাম লেখাতে চলেছে নাইট রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি। এর আগে আইপিএল এ কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স হিসেবে নিজেদের দল তৈরি করেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। আর এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের প্রসার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার জনপ্রিয় শহর লস অ্যাঞ্জেলেস এর ফ্র্যাঞ্চাইজিকে কিনবে নাইট রাইডার্স।
তবে শুধু দল গঠনই নয়, এই নয়া লিগে আরও একটি বড় দায়িত্বে থাকবে নাইট রাইডার্স গ্রুপ। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা ‘ইউএসএ ক্রিকেট’ এর পার্টনার আমেরিকা ক্রিকেট এন্টারপ্রাইসের পরামর্শদাতা হিসেবে থাকবে। আগামী ২০২২ সাল এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা।
এই নিয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাইট রাইডার্স গ্রুপের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর বলেছেন, “আইপিএল কিংবা সিপিএল এ আপনি একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনে ফেলেন, আর সেটা আপনার সম্পূর্ণ নিজস্ব এবং নিজ মতেই চালাতে পারবেন। কিন্তু মেজর লিগ ক্রিকেটে, লিগের একটি স্বত্ত্ব আপনাকে নিতে হবে। ইউএসএ ক্রিকেট এই মুহুর্তে আরও বড় জাতীয় ক্রিকেটের সেট আপ, অ্যাকাডেমি এবং প্রতিভা অন্বেষণে মন দিতে চাইছে। এবং এই সকলই দরকার একটি টি২০ লিগ আয়োজন করার জন্য। পাশাপাশি, আমরা এখানকার পরিকাঠামো বাড়ানোর দিকে মন দেব, আগামী কয়েক বছরে ছয়টি বিশ্বমানের স্টেডিয়াম বানানো হবে।”
এরপর নিজেদের গ্রুপের বিষয়ে বলতে গেলে ভেঙ্কি মাইসোর জানিয়েছেন, যেভাবে মানুষ তাদের বিশ্বের টি২০ ক্রিকেটের একটি ব্র্যান্ড হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, তাতে তারা গর্বিত। এই বিষয়ে মাইসোর বলেছেন, “অনেকেই বলে থাকেন যে আমরাই একমাত্র যারা টি২০ ক্রিকেটের একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড, এবং এই বিষয়ে আমরা গর্ব বোধ করি। এটি সব সময় আমাদের নজরে ছিল। আইপিএল তো শুধু দুই মাসের জন্য, বা হয়ত আরও এক মাস। কিন্তু তার পর এই ব্র্যান্ডটিকে বাঁচিয়ে রাখতে বছরের বাকি দিনগুলিতে কি করা হবে? আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের এই ব্যবসাকে বিশ্বস্তরে নিয়ে যাওয়ার, এবং সারা বিশ্বের দুই, তিন, চার, পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনে নেওয়া।”