ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জোস বাটলার বলেছেন যে ভারতীয় তারকা রাহুল দ্রাবিড়ার সৌরভ গাঙ্গুলীর ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টনটনে করা সেঞ্চুরির তার উপর অবিশ্বসনীয় প্রভাব পড়েছিল। গাঙ্গুলী আর দ্রাবিড় দ্বিতীয় উইকেটের হয়ে ৩১৮ রানের বড়ো পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে সহজ জয় এনে দিয়েছিলেন। জোস বাটলার দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যানের প্রশংসা করে বলেছেন যে এই ব্যাটসম্যানদের ইনিংস আমার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
জোস বাটলারের মনে পড়ল দ্রাবিড় আর গাঙ্গুলীর ঐতিহাসিক ইনিংস
১৯৯৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের প্রদর্শন যথেষ্ট নিরাশজনক ছিল, কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে দ্রাবিড় আর গাঙ্গুলী দ্বারা দ্বিতীয় উইকেটের হয়ে করা ৩১৮ রানের পার্টনারশিপ আজও সমর্থকরা স্মরণ করেন। ইংল্যাণ্ডের ব্যাটসম্যান জোস বাটলারও ভারতের দুই মহান ব্যাটসম্যানের এই ইনিংসের যথেষ্ট প্রাশংসা করেছেন। ক্রিকবাজের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জোস বাটলার বলেছেন, “ওটা আমার শুরুর বছর ছিল, ওই ম্যাচে গাঙ্গুলী আর দ্রাবিড়কে বড়ো সেঞ্চুরি করতে দেখতে আমার উপর অবিশ্বসনীয় প্রভাব পড়েছিল। ওরা ইংল্যাণ্ডে খেলা হওয়া ওই ম্যাচে বড়ো সংখ্যায় ভারতীয় দর্শকদের উপস্থিতি ছিল অবাক করার মত। ভারত আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের মাচে ভারতীয় দর্শকদের দেখার আমার প্রথম অভিজ্ঞতা ছিল আর এতে আমার ভেতরের প্যাশন জাগে যে মানুষ খেলার প্রতি কতটা প্যাশনেট আর বিশ্বকাপে খেলা কতটা ভালো হবে”।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে ভারত শ্রীলঙ্কাকে বড়ো ব্যবধানে হারিয়েছিল
ভারতীয় দল এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৭৩ রানের বিশাল স্কোর করেছিল। এই ম্যাচে গাঙ্গুলী নিজের ওয়ানডে কেরিয়ারের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রদর্শন করে ১৫৮ বলে ১৮৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। অন্যদিকে তার সতীর্থ রাহুল দ্রাবিড় ১২৯ বলে ১৪৫ রান করেছিলেন।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ভারতীয় দল দুর্দান্ত প্রদর্শন করে শ্রীলঙ্কার পুরো দলকে ২১৬ রানে আউট করে এই ম্যাচ ১৫৭ রানে জিতে নিয়েছিল। ভারতের হয়ে রবিন সিং সবচেয়ে বেশি ৫টি উইকেট নিয়েছিলেন।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে ভারতের প্রদর্শন ছিল খারাপ
জোস বাটলার সৌরভ গাঙ্গুলী আর রাহুল দ্রাবিড়ের ওই ঐতিহাসিক ইনিংসের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন যা আজও বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড হিসেবে নথিবদ্ধ রয়েছে, কিন্তু ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের প্রদর্শন ভীষণই খারাপ ছিল। ভারতীয় দল কষ্ট করে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছেছিল কিন্তু সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার আগেই তারা ছিটকে যায়। এই বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া আর পাকিস্তান মুখোমুখি হয়, যেখানে অস্ট্রেলিয়া বাজি মেরে স্টিভ ওয়ার অধিনায়কত্বে খেতাব জিতেছিল।