ENG vs IND: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত বছরের টেস্ট সিরিজের বাকি থাকা একমাত্র টেস্ট ম্যাচে চালকের আসনে থেকেও ভারতীয় দল (Team India) এই ম্যাচ লজ্জাজনকভাবে হেরে যায়। এই ম্যাচ ভারতের মুখ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান ইংল্যান্ডের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান জনি বেয়রস্টো (Jonny Bairstow)। এই পঞ্চম টেস্টে জনি দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে দলকে বিপদের মুখ থেকে টেনে তোলার পাশাপাশি ভারতের হাত থেকেও জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন।
নিজের এই অসাধারণ প্রদর্শনের পর এই ম্যাচের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান। তার এই দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির সুবাদেই ইংল্যান্ডের দল ভারতের ৩৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে সহজেই সাত উইকেটে জিতে গিয়েছে। ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পর বেয়রস্টো এমন এক বয়ান দিয়েছেন যা ভারতের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন Jonny Bairstow
এই মুহূর্তে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন জনি বেয়রস্টো (Jonny Bairstow)। তিনি ঘরের মাঠে প্রথমে নিউজিল্যান্ড দলের (ENG vs NEZ) বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির বৃষ্টি করেছিলেন। এখন ভারতের বিরুদ্ধেও তিনি একের পর এক সেঞ্চুরি করে চলেছেন। এই মুহূর্তে ইংল্যাণ্ড দলের সবচেয়ে বড় ম্যাচ উইনার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বেয়রস্টো।
ইংল্যান্ডের দুই ইনিংসেই দল যখন সমস্যায় ছিল সেই সময় বেয়রস্টো ব্যাট করতে আসেন। প্রথম ইনিংসে যখন বেয়রস্টো ক্রিজে আসেন, সেই সময় দলের রান ছিল ৮৪/৫। সেখান থেকে দলকে ২৮৬ রানে পৌঁছে দেন এই তারকা। অন্যদিকে যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে আসেন জনি সেই সময় দল ১০৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। এরপর থেকেই দলকে একেবারে জিতিয়ে আসেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১১৪ রানের ইনিংস খেলেছেন।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়ে বড় হুঙ্কার দিলেন Jonny Bairstow
টেস্ট ম্যাচ ফর্ম্যাটে গত কয়েক মাস ধরেই এক আলাদা রূপে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বেয়রস্টোকে। চলতি বছরে তিনি টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানও হয়েছেন। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন এই তারকা। তার মধ্যে তিনি ৭৬.৪৬ গড়ে মোট ৯৯৪ রান করে ফেলেছেন।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার নিয়ে বেয়রস্টো বলেন
“এই সময় দারুণ মজা লাগছে। কত কিছু বছর আমার জন্য কঠিন থেকেছে। কিন্তু গত কয়েক মাসে আমি দুরন্ত প্রদর্শন করেছি। আমার কাছে এখন খুশি অনেক কারণ রয়েছে। আমি এখন ব্যর্থ হতে ভয় পাই না আর শুধু বিরোধী দলের উপর চাপ তৈরি করতে চাই। আমরা জানি যে আমরা যেভাবে খেলছি তাতে আমরা হেরেও যেতে পারি, কিন্তু এটাই ক্রিকেট খেলার মজার ধরণ।
লক্ষ্য তাড়া করা সবসময়ই আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, ভারতের কাছে কিছু বিশ্বস্তরীয় বোলার রয়েছেন আর আমাকে শুধু চাপ কম করতে হত। এমন একটা সময়ও এসেছিল যখন ওরা পাল্টা দেওয়াও শুরু করেহচিল। রুট আর আমি একে অপরকে ভালভাবে জানি কারণ আমরা ইয়র্কশায়ার অ্যাকাডেমিতে একসঙ্গে খেলে বড় হয়েছি”।