রবিবার মায়ানগরী মুম্বাইতে ইতিহাস রচনা করলো ভারতীয় মহিলা দল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাস্ত করে আইসিসি বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেছে। ভারতীয় মহিলা দল এবারের বিশ্বকাপে অনবদ্য প্রদর্শন দেখিয়েছিল বিশ্বকাপ শুরু থেকেই। শুরুতে দুই ম্যাচে জয় পেয়েছিল ভারত। পরে, তিন ম্যাচে হারতে হয়েছিল তাকে, শেষের দিকে নিউজিল্যান্ডকে পরাস্ত করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। এরপর সেমিফাইনালে অস্ট্রালিয়া ও ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাস্ত করে শিরোপা জয় করে ভারতীয় দল। শিরোপা জয়ের পর ভারতীয় দলের ১৫ জন সদস্য বিজয়ী পদক পেলেও এদিন পদক পাওয়া সম্ভব হয়নি ওপেনার প্রতিকা রাওয়ালের (Pratika Rawal)।
বিজয়ী পদক হাতছাড়া হয়েছিল প্রতিকার

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ফাইনালের ১৫ জন স্কোয়াড সদস্যকেই পদক দেওয়া হয়, যার ফলে প্রতিকা সে রাতে বঞ্চিত হন প্রতিকা। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য প্রতিকা রাওয়ালের মুখে অবশেষে ফুটল হাসি। ফাইনালের রাতে পদক না পাওয়ার আক্ষেপ মিটতে চলেছে তাঁর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারতীয় দলের এই অলরাউন্ডারকেও দেওয়া হবে বিশ্বজয়ের স্বর্ণপদক। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রতিকার হাতে পৌঁছে যাবে সেই বহুল প্রতীক্ষিত পদকটি।
Read More: “সূর্যকুমারকেও ৩০ ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হোক”, হারিস রাউফের ব্যান নিয়ে জয় শাহকে তোপ, পাক তারকার !!
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন প্রতিকা। গুরুতর চোটের কারণে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে তিনি মাঠে নামতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন শেফালি বর্মা (Shafali Verma)। বিশ্বকাপ জুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল তাঁর – ৩০৮ রান করে টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর সেঞ্চুরিই ভারতকে শেষ চারে পৌঁছে দিয়েছিল।
প্রতিকাকে মেডেল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জয় শাহের

বিশ্বজয়ের রাতে হুইলচেয়ারে বসে সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন প্রতিকা। কিন্তু পদক না পেয়ে তাঁর চোখে জল এসেছিল। সেই আবেগঘন মুহূর্তের পর নিজে থেকেই উদ্যোগ নেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। তিনি দলের ম্যানেজারকে বার্তা পাঠিয়ে প্রতিকার জন্য আলাদা করে পদকের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। প্রতিকা জানিয়েছেন, জয় শাহের কথামতো আইসিসির সদর দপ্তর থেকে তাঁর পদক পাঠানো হচ্ছে। প্রতিকা বলেছেন, “আমি সাধারণত কাঁদি না, কিন্তু পদকটা প্রথমবার হাতে পেয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত।” রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় গলায় সেই পদক পরে ছিলেন তিনি— যেটি ছিল তাঁর সতীর্থ আমানজত কৌরের।