Jay Shah
Jay Shah | Image: Getty Images

২০১৯ থেকে ২০২৪ অবধি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব পদে ছিলেন জয় শাহ (Jay Shah)। নিউজিল্যান্ডের গ্রেগ বার্কলে সরে দাঁড়ানোর পর আইসিসি’র চেয়ারম্যান পদে বসেছেন তিনি। মাত্র ৩৫ বছর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জয় শাহের পুত্রের। কনিষ্ঠতম ব্যক্তি হিসেবে ক্রিকেটদুনিয়ার সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছেন তিনি। বাইশ গজের দুনিয়ায় তাঁর অবিশ্বাস্য উত্থান নজর কেড়েছে অনেকেরই। দিনকয়েক আগে জয় শাহ’কে (Jay Shah) দেখা গিয়েছে দুবাইতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) জয়ের পর ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা’র হাতে ট্রফি তুলে দেন তিনিও। টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের সাথে ছবিও তোলেন তিনি। জয় শাহ (Jay Shah) যখন মধ্যপ্রাচ্যে তখন তাঁর নাম ভাঁড়িয়ে দুর্নীতি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন পাঞ্জাবের এক যুবক। হরিদ্বারের একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Read More: “দলের দিকে নজর দেয় নি…” ব্যর্থতার দায় পিসিবি’র, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিটতেই তোপ দাগলেন দানিশ কানেরিয়া !!

পাঞ্জাবের বাসিন্দা অমরিন্দর হরিদ্বারের পবন ধাম অঞ্চলের একটি হোটেলে ছিলেন বেশ কিছুদিন। হরিদ্বারের সরকারী উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছে নিজেকে জয় শাহের (Jay Shah) আপ্তসহায়ক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন অমরিন্দর। তাঁদের কাছ থেকে নানান কাজে সুবিধা আদায়েরও চেষ্টা করেন তিনি। খবর পাওয়া মাত্র হরিদ্বার সিটি কোতোয়ালি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কুন্দন সিং রাণা ও স্পেশ্যাল অপারেশনস গ্রুপ-ইন চার্জ ইন্সপেক্টর নরেন্দ্র সিং বিস্তের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী হোটেলে হানা দেয়। ধরা পড়েন অমরিন্দর। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। পুলিশ বর্তমানে জেরা করছে অভিযুক্তকে। তাঁর সঙ্গে আর কারা যুক্ত অথবা এহেন প্রতারণা আগেও সে করেছে কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে। অমরিন্দরের কাছ থেকে বিসিসিআই-এর একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেখানে জয় শাহের (Jay Shah) সাথে তার ছবিও রয়েছে।

এই প্রথম নয়, এর আগেও জয় শাহের (Jay Shah) পরিচয় ভাঁড়িয়ে প্রতারণা ও দুর্নীতির চেষ্টার খবর এসেছিলো প্রকাশ্যে। গত মাসেই উত্তরাখণ্ডের তিন বিজেপি বিধায়কের কাছ থেকে ক্রিকেট কর্তা পরিচয় দিয়ে মোট ৩ কোটি টাকা দাবী করা হয়েছিলো। হরিদ্বারের রাণীপুরের বিধায়ক আদেশ চৌহান, নৈনিতালের বিধায়ক সরিতা আর্য ও রুদ্রপুরের বিধায়ক শিব আরোরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে প্রিয়াংশু পন্থ, গৌরবনাথ ও উবেশ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিলো হরিদ্বার ও উধম সিং নগরের পুলিশ। একই ঘটনা ঘটেছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও। মণিপুরের তিন বিজেপি বিধায়কের কাছেও জয় শাহের পরিচয় দিয়ে টাকা চাওয়া হয়েছিলো। দিল্লী থেকে অভিযুক্তদের মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৮(৪), ৩১৯(২) ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে ইতিমধ্যে।

Also Read: “দুবাইয়ের জন্যই ফাইনাল জিতেছে…” টিম ইন্ডিয়ার প্রদর্শন দেখে বেফাঁস মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে আফ্রিদি !!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *