পাকিস্তান ক্রিকেট দলে শুরু থেকেই জোরে বোলারদের এক ভয়ঙ্কর সিরিজ তৈরি হতে থেকেছে। জোরে বোলিংয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের কোনো জবাব নেই, কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেটে যেভাবে একের পর এক বোলাররা এসেছেন তেমনভাবে ব্যাটসম্যান খুবই কম বেরিয়েছে যারা আলাদা রকমের প্রভাব ফেলতে পারেন।
পাকিস্তান দল ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বেশি থাকে বোলারদের উপর নির্ভরশীল
পাকিস্তানে বোলারদের কোনো অভাব দেখতে পাওয়া যায় না। পাকিস্তান ক্রিকেট দুর্দান্ত জোরে বোলারদের ইতিহাসে ভরে রয়েছে। কিন্তু যখন বোলারদের তুলনায় ব্যাটসম্যানদের কথা আসে তো কখনো কখনোই আলাদা ধরণের ব্যাটসম্যানরা এসেছেন। আজ দেখা গেলে পাকিস্তান দল নিজেদের বোলারদের উপর ব্যাটসম্যানদের চেয়েও বেশি ভরসা করে। আর তাদের বোলাররাও তাদের যথেষ্ট ভরসা দিয়েছে তেমন ভরসা ব্যাটসম্যানদের তরফ থেকে তারা পায়নি। আর এই বিষয়টি প্রাক্তন পাকিস্তানী অধিনায়ক জাভেদ মিঁয়াদদ স্বীকারও করে নিয়েছেন।
মিঁয়াদদ বললেন, পাক ব্যাটসম্যানরা হতে পারেন না দলের প্রধান অংশ
জাভেদ মিঁয়াদদ পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের উপর দারুণভাবে কটাক্ষ করেছেন আর বলেছেন যে, “আমি ওদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে পাকিস্তানে কেউ কী আছে যে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড আর ভারতের মতো দলগুলিতে খেলোয়াড়দের জায়গা নিতে পারেন? আমাদের কোনো ব্যাটসম্যানই এই দলগুলিতে খেলতে পারবে না। আমাদের কাছে বোলার রয়েছে কিন্তু ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউ নেই। এই বিশ্ব দৈনিক আয়ে চলে আর মজদুরি করে। টাকা নাও আর যাও। কাল স্কোর হবে আর তারপর আমরা আপনাদের টাকা দেব। আপনি একজন পেশাদার, যদি কাজ না করেন বা রান না করেন তো টাকা কেনো নেন? এটা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাজ। ওদের সুনিশ্চিত করার প্রয়োজন রয়েছে যে কেউ যেনো ক্রিকেট দলকে নিজের কব্জায় না নেয়”।
শাহজাদ আহমেদের বয়ান নিয়ে মিঁয়াদদ করলেন টার্গেট
সম্প্রতিই শাহজাদ আহমেদ নিজের একটি বয়ানে বলেছিলেন যে তিনি এখনো আরো ১২ বছর ক্রিকেট খেলতে পারেন। এটা নিয়ে মিঁয়াদদ বলেছেন, “আপনি ১২ বছর কেনো আপনি ২০ বছর ক্রিকেট খেলতে পারেন। আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি কিন্তু আপনার প্রদর্শন করার প্রয়োজন রয়েছে। যদি আপনি রোজ প্রদর্শন করেন তো কোনো দলই আপনাকে বাদ দেবে না। যখন খেলোয়াড়রা প্রদর্শন করতে না পারেন বা চাপে পড়ে যান তো বাদ পড়েন। খেলোয়াড়দের এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন বয়ান দেওয়া উচিত নয় আর এর বদলে মাঠে নিজের প্রদর্শন করা উচিত”।