ভারত-পাক কূটনৈতিক সম্পর্কে নয়া মোড়। দেশের বিদেশমন্ত্রী এস.জয়শঙ্কর (S.Jaishankar) গতকাল উড়ে গিয়েছেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। সেখানে এসসিও (সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন) কনক্লেভে যোগ দেবেন তিনি। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে হার্ট অফ এশিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ইসলামাবাদে পা দিয়েছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ঐ বছরই ডিসেম্বরে লাহোরে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাথে দেখা করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এরপর কোনো হাইপ্রোফাইল ভারতীয় নেতা পা রাখেন নি পাকিস্তানের মাটিতে। ৯ বছর পর জয়শঙ্করের পাক সফর তাই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমান পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাথে নৈশভোজ সারেন তিনি। বুধবার ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের অন্দরে মর্ণিংওয়াক করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
Read More: BREAKING NEWS: বৃষ্টিতে স্থগিত বেঙ্গালুরু টেস্ট, মাঠ ছাড়লো টিম ইন্ডিয়া !!
কাটবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জটিলতা?
আগামী বছর পাকিস্তানের মাটিতে আয়োজিত হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025)। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে পিসিবি। অংশগ্রহণকারী বাকি দলগুলির পাক সফরে আপত্তি না থাকলেও বেঁকে বসেছে টিম ইন্ডিয়া। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা যথেষ্ট নয় আইসিসি’কে জানিয়েছে বিসিসিআই। গত বছর এশিয়া কাপেও (Asia Cup) একই কারণ দেখিয়ে পাকিস্তান যেতে রাজী হয় নি বোর্ড। বাধ্য হয়েই হাইব্রিড মডেলের দাবী মেনে নিতে হয়েছিলো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে। ভারত নিজেদের প্রতিটি ম্যাচ খেলেছিলো শ্রীলঙ্কার মাটিতে। টুর্নামেন্টের ১৩টি ম্যাচের মধ্যে ৯টিই সরে গিয়েছিলো শ্রীলঙ্কায়। এবারও আইসিসি’র কাছে হাইব্রিড মডেলেরই দাবী করেছে তারা।
বিদেশমন্ত্রী এস.জয়শঙ্করের (S.Jaishankar) পাকিস্তান সফর ক্রিকেটের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত যে বোর্ড নয় বরং দেশের কেন্দ্রীয় সরকার নেবে তা বারবারই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে এসেছেন রজার বিনি, জয় শাহ’রা। ইতিপূর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) তরফ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া মিলেছিলো কোহলিদের সম্ভাব্য পাক সফর বিষয়ে। প্রাক্তন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর’ও সাফ জানিয়েছিলেন যে পড়শি দেশে পা দেবে না ‘মেন ইন ব্লু।’ কিন্তু এসসিও কনফারেন্সের জন্য খোদ বিদেশমন্ত্রী যখন ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান গিয়েছেন, তখন ভারতীয় দলের জন্যও সরকার বজ্রমুষ্ঠি খানিক শিথিল করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বিশেষ করে জয়শঙ্করের সফরের পর আশাবাদী পাকিস্তানের ক্রিকেটমহল।
ফাইনাল সরতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে-
বিদেশমন্ত্রী এস.জয়শঙ্কর (S.Jaishankar) পাকিস্তান গিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) নিয়ে ভারতের অবস্থানে কোনো বদল আসবে কিনা তা নিশ্চিত নয় এখনও। আপাতত যা খবর, তা অনুযায়ী বলা যায় যে হাইব্রিড মডেলের জন্যই চাপ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিসিসিআই। যে খসড়া সূচি আইসিসি’র কাছে জমা করেছে পাক ক্রিকেট বোর্ড, সেখানে ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে লাহোর, করাচী ও রাওয়ালপিন্ডিকে। ভারতীয় দলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তাদের সবক’টি ম্যাচ লাহোরে করতে চায় পিসিবি। কিন্তু সূত্রের খবর লাহোর নয় বরং দুবাইতে রোহিত শর্মাদের ম্যাচগুলি সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। খসড়া সূচি অনুযায়ী ফাইনালটিও লাহোরে আয়োজিত হওয়ার কথা। কিন্তু ভারত খেতাবী যুদ্ধে পা রাখলে, সেটিও সরানো হতে পারে দুবাইতেই।